BollywoodHoop Plus

মৃত্যুর আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বুঝতে পেরেছিলেন রাজ, কি ঘটেছিল সেদিন রাতে!

30 শে জুন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা মন্দিরা বেদী (Mandira Bedi)-র স্বামী ও বিখ্যাত প্রযোজক-পরিচালক রাজ কোশল চ্যাটার্জি (Raj koshal chatterjee) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র 49 বছর বয়সে প্রয়াত হন। তাঁর অকালপ্রয়াণের সংবাদ বলিউডে ছড়িয়ে পড়তেই রাজ-মন্দিরার বাংলো ‘রামা’-য় এসে পৌঁছন হুমা কুরেশি (Huma Qureshi), নেহা ধুপিয়া (Neha dhupia), অঙ্গদ বেদী (angad bedi), রণিত রায় (Ronit Roy), অপূর্ব অগ্নিহোত্রী (Apurba agnihotri), দিনো মোরিয়া (Dino moria)-রা। আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন আশিষ চৌধুরী (ashish chowdhury)।

রাজের অকাল প্রয়াণে স্তম্ভিত তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনরা। রাজের বন্ধু ও সহকর্মী সুরকার সুলেমান মার্চেন্ট (suleiman merchant) জানিয়েছেন, আগের দিন রাতেও রাজ ও মন্দিরার বাড়িতে পার্টি ছিল। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করছিলেন রাজ। সেই সময় তিনি অ্যান্টাসিড ট‍্যাবলেট খান। ভোরের দিকে রাজের শারীরিক অস্বস্তি বাড়লে রাজ নিজেই মন্দিরাকে বলেন, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মন্দিরা দ্রুত আশীষকে ফোন করেন। আশীষ দ্রুত রাজ-মন্দিরার বাড়িতে পৌঁছালে তাঁরা রাজকে নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু রওনা হওয়ার পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যেই রাজ অজ্ঞান হয়ে যান। রাজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রকৃতপক্ষে, রাজ নিজেই অনেক দেরিতে বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা।

সুলেমান জানিয়েছেন, এর আগেও 30 বছর বয়সে রাজের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে রাজের পরিবারের সদস্যরা রাজকে যথেষ্ট যত্নে রাখতেন। ফলে রাজও সুস্থ ছিলেন। রাজ ও সুলেমান যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। রাজ যখন মুকুল আনন্দ (mukul anand)-এর সহকারী হিসাবে কাজ করতেন, তখন থেকেই রাজের সঙ্গে সুলেমানের পরিচয়। রাজ পরিচালিত প্রথম ফিল্ম ‘পেয়ার মে কভি কভি’-র মিউজিক ডিরেক্টর ছিলেন সেলিম-সুলেমান।

রাজ ছিলেন খুব ভালো মনের মানুষ ও যথেষ্ট বন্ধুবৎসল। সুলেমান জানিয়েছেন, যখন সুলেমান তাঁদের মিউজিক অ্যালবাম ‘ভূমি 2020′-র শুটিংয়ের জন্য প্ল্যান করছিলেন তখন রাজ মাধ দ্বীপে তাঁর বাংলো অফার করেছিলেন সুলেমানকে। কিন্তু শেষ অবধি মিউজিক অ্যালবামটির শুটিং হয়নি।

এই মুহূর্তে নেটদুনিয়ায় রাজের শেষকৃত‍্যের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবি এবং ভিডিওগুলিতে মন্দিরাকে দেখা যাচ্ছে সমস্ত নিয়ম পালন করতে। সেখানেই দেখা গেছে স্বামী রাজের দেহকে কাঁধ দিয়েছেন মন্দিরা এবং একইসঙ্গে বয়ে নিয়ে গেছেন আগুনভরা মালসা। স্বামীকে কাঁধ দেওয়ার এই দৃষ্টান্তে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। প্রশংসা বাক্যে ভরে গিয়েছে মন্দিরার কমেন্ট বক্স।

স্বামীকে হারিয়ে কার্যতঃ ভেঙে পড়েছেন মন্দিরা। সহধর্মিণী হওয়ার কথা দিয়েছিলেন রাজকে। রাজের অন্তিম যাত্রাতেও সেই ভূমিকায় পালন করলেন তিনি। কেরিয়ারের শুরুর দিকে মুকুল আনন্দ, সুভাষ ঘাই ( subhash ghai)-এর মতো পরিচালকদের সহকারী ছিলেন রাজ। এরপর 1998 সালে নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন রাজ। পরিচালক ওনির (onir)-এর প্রথম ফিল্ম ‘মাই ব্রাদার নিখিল’-এর প্রযোজক ছিলেন রাজ। রাজের পরিচালনায় তৈরি হয়েছিল ‘শাদী কা লাড্ডু’, ‘পেয়ার মে কভি কভি’-র মতো ফিল্ম। এছাড়াও একাধিক বিজ্ঞাপণী ফিল্ম পরিচালনা করেছেন রাজ।

Related Articles