School Vacation: তীব্র গরমে আবারো কি বন্ধ হতে পারে স্কুল? কি বলছে শিক্ষা দফতর!
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, তারপরেই মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়ে গেছে সেই ভোটের ফলাফল। ৩রা জুন বিদ্যালয়গুলি খুলে গিয়েছিল, কিন্তু শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী সেই দিন থেকে শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকারাই বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারবেন। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতেই থাকবে। এমনটা বলা হয়েছিল, তাই গতকাল সোমবার ১০ই জুন প্রথম বিদ্যালয় এর পঠন পাঠন শুরু হয়ে গেছে।
একদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে চলছে পচা ভ্যাপসা গরম। কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহেরও সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যেই সোমবার ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে গেছে, কিন্তু এতদিন বিদ্যালয়ের গরমের ছুটি পরও রাজ্যের স্কুল গুলো খোলার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা দেখা গেল।
স্কুল খোলার ক্ষেত্রে কি সমস্যা?
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই গোটা রাজ্যের দফায় দফায় পৌঁছে যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল। কিন্তু ভোটের পর বাংলায় কিছু কিছু জায়গায় এখনো তারা থেকে গেছে। তারা থাকার জন্য বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়। তাদের থাকার মেয়াদ আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত। চারিদিকে যে ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে তা রুখতেই এমন ব্যবস্থা। যার ফলে পঠন-পাঠন শুরু করা জটিল হয়ে পড়ছে, সেই দিকেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, আইনজীবিরা। অবিলম্বে আদালত যেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, এমনটাই জানানো হয়েছে।
গতকাল বিদ্যালয় খুলে গেলেও গরমের জেরে রীতিমতো হাঁসফাসানি অবস্থা পড়ুয়াদের কিন্তু পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে গরমের মধ্যেও পঠন পাঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এরকম পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছে সরকার। একাধিক জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোন করে রীতিমতো খোঁজ নিচ্ছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতে গরমে নাজেহাল। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি তাপ প্রবাহের জোরে বাঁকুড়ার পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ও খবর আছে, এইরকম পরিস্থিতিতে কিসের সিদ্ধান্ত স্কুল হওয়ার কি কোন সম্ভাবনা আছে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।