আমফানের পর ঘূর্ণিঝড় ‘তৌকতাই’, শক্তি বৃদ্ধি করে ধেয়ে আসছে ভারতের দিকে
গতবছরের আম্ফানের স্মৃতি ভুলে ওঠার আগেই চলতি বছরে ভারতের ভূখণ্ডের দিকে তেড়ে আসছে সাইক্লোন “তৌকতাই”। এই সাইক্লোন তৈরি হয়েছে আরব সাগরের বুকে। বর্তমানে সমুদ্রের উপরে নিম্নচাপ বাড়ায় শক্তি বৃদ্ধি করছে এই সাইক্লোন। আবহাওয়া অফিস মনে করছে যে এই সাইক্লোন আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে অনেক বেশি শক্তি বৃদ্ধি করবে। তারপর আগামী মঙ্গলবার পূর্ণ শক্তি নিয়ে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়বে ঝড়। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি আজ বিকেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৌকতাই পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং করবেন।
আগে থাকতেই সাবধানতা অবলম্বন করতে ইতিমধ্যেই গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সাথে সর্তকতা দেওয়া হয়েছে গোয়া প্রশাসনকেও। ইতিমধ্যেই পাঁচটি রাজ্যে ৫০ টির বেশি এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আজ থেকে আরব সাগরে নামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার অব্দি এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এছাড়া আগে থাকতে সাবধানতার জন্য নৌবাহিনীর জাহাজ, হেলিকপ্টার, বিমান, ছোট নৌকা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে আগে থাকতে যে কোন রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নৌ বাহিনী প্রশাসনের পূর্ণ সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
CS Tauktae lay centred at 1130 IST,15th May,over eastcentral Arabian Sea near latitude 13.2°N and longitude 72.5°E, about 290 km southwest of https://t.co/icXN7tD6u6 intensify further and cross Gujarat coast between Porbandar and Nalliya around 18th May afternoon/evening. pic.twitter.com/gffewNIhTI
— India Meteorological Department (@Indiametdept) May 15, 2021
এই ঘূর্ণিঝড় আগামী মঙ্গলবার গুজরাট উপকূলে পোরবন্দর ও নালিয়া অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে। এছাড়াও গুজরাটের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কেরালা সহ একাধিক উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কেরালা এবং লাক্ষাদ্বীপের নিচু অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে সেখানে রেড এবং অরেঞ্জ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে কেরালাতে ঝড়ের তেমন প্রভাব না পড়লেও নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। তাই ইতিমধ্যেই কেরালা সরকার বন্যার সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিরুবনন্তপুরম থেকে ৩০০ পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে এবং ৩১৮ টি জায়গায় রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে।