দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই রয়েছে ছবির মতো সুন্দর এই স্থান, ঘুরে আসুন পরিবারকে নিয়ে
বেড়াতে যেতে কে না ভালোবাসে? বিশেষ করে বাঙালির পায়ের তলায় যেন একেবারে সরষে লাগানো আছে, বাড়িতে যখন কিছু করতে ভালো লাগে না মনে হয়, দীঘা, পুরী কিংবা দার্জিলিং থেকে একবার ঘুরে আসা যেত তাহলে কিন্তু মন্দ হতো না। দার্জিলিং যেন এখন খুব বেশি পাড়া হয়ে গেছে, আপনার পছন্দ মতো একটা জায়গায় নিয়ে যাব আজকে আমি। এখানে গেলে আপনি একসঙ্গে দেখতে পাবেন পঞ্চাশটিরও বেশি ঝর্ণা, চারিদিকে ঝর্ণার কুলুকুলু শব্দে আপনার মনে হবে যেন স্বর্গ রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন।
বর্তমানে দার্জিলিং বাদ দিয়ে দার্জিলিংয়ের আশেপাশে অফবিট গ্রাম ঘুরে দেখার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে, প্রত্যেকের মধ্যে তাই শুধুমাত্র দার্জিলিং করে না। বাঙালিরা আশে পাশের অফবিটগ্রাম গুলোকে খুঁজে বার করেছিল, সেখানকার হোমস্টে গুলোতে থেকে জায়গা গুলো দেখাও কিন্তু একটা আলাদা মজা দিতে পারে।
কিভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
দার্জিলিং এর অসাধারণ একটা অফপিট জায়গা হল পেডং এর খুব কাছে সাকিয়ান। পেডং থেকে কাগে যাওয়ার পথে অসাধারণ এই জায়গাটি পড়ে। মোটামুটি দার্জিলিং থেকে ৫০০ টাকা খরচ করলেই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন অসাধারণ এই জায়গা গুলিতে রয়েছে আপনার থাকতে ভীষণ ভালো লাগবে। গোটা গ্রামের সর্বসাকুল্যে ১০ থেকে ১২ টা বাড়ি আছে, মানে বেশ ফাঁকা ফাঁকা জায়গাটা এখানে গেলে, কংক্রিটের জঙ্গল থেকে একটু শান্তিতে বাস করতে পারবেন।
তবে সিকিমেও একটি সাকিয়াং আছে, এটা কিন্তু গুলিয়ে ফেলবেন না, সিকিমের সাকিয়াং আর দার্জিলিং এর কাছে সাকিয়াং কিন্তু একেবারেই আলাদা এখানে গেলে আপনি পঞ্চাশটিরও বেশি ছোট বড় ঝর্ণা দেখতে পাবেন আর দেখতে পাবেন। তাই আর দেরি না করে এবার ব্যাগ গুছিয়ে চটপট চলে যান অসাধারণ এই জায়গাটিতে। বর্তমানে কলকাতা বা তারপর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলিতে এত বেশি কংক্রিটের জঙ্গল তৈরি হয়েছে, যে একটু অক্সিজেন নেওয়াটাই যেন দায় হয়ে পড়েছে, সেক্ষেত্রে যদি একটু ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে খোলা অক্সিজেন নিতে চান তাহলে এই জায়গাটি আপনার জন্য।