করোনা অতিমারীর কারণে প্রেক্ষাগৃহ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পঞ্চাশ শতাংশ দর্শকাসন নিয়ে আবারও খুলেছে। তবে কিছু রাজ্যে দর্শকাসনের সংখ্যা রয়েছে সত্তর শতাংশ। প্রেক্ষাগৃহ খুললেও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ফলে দর্শকদের একটি বড় অংশ বাড়িতে বসে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফিল্ম দেখাকেই শ্রেয় মনে করছেন। কিন্তু সব হিসাব বদলে দিল ‘সূর্যবংশী’।
2019 সাল থেকে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘সূর্যবংশী’ আবারও দর্শকদের হলমুখী করে তুলেছে। অক্ষয়কুমার (Akshay Kumar) ও ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif) অভিনীত ফিল্ম ‘সূর্যবংশী’ মুক্তির পাঁচ দিনের মধ্যেই একশো কোটির ব্যবসা করেছে। পরিচালক রোহিত শেঠি (Rohit Shetty)-র ‘কপ ইউনিভার্স সিরিজ’-এর অন্যতম ফিল্ম ‘সূর্যবংশী’। 5 ই নভেম্বর ফিল্মটি মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম দিনে আয় হয়েছিল 26 কোটি। এরপর ছিল শনিবার ও রবিবার। কিন্তু এর মাঝে একদিনও অ্যাকশন, রোম্যান্সে ভরপুর ‘সূর্যবংশী’-র শো ফ্লপ হয়নি। দর্শকাসন রীতিমত ভরে গিয়েছিল। চার দিন পর ফিল্মের আয় ছাড়িয়ে গিয়েছিল একাশি কোটি। সেই সময় অধিকাংশ ফিল্ম ক্রিটিকরা বলেছিলেন, করোনা অতিমারীর মধ্যেও রেকর্ড তৈরি করবে ‘সূর্যবংশী’। তাঁদের কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
হল মালিকরা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন ‘সূর্যবংশী’-র হাত ধরে। আইনক্স বা পিভিআর মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে মোটামুটি ব্যবসা চলছিল। কিন্তু ছোট বা মাঝারি ধরনের সিনেমা হলগুলি চূড়ান্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। কিছুটা হলেও তাদের লোকশান সামাল দিতে পেরেছে ‘সূর্যবংশী’। অজন্তা সিনেমা হলের মালিক শতদীপ সাহা (Shatadip Saha) ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর হলে ‘সূর্যবংশী’ হাউসফুল।
অক্ষয় ও ক্যাটরিনা ছাড়াও এই ফিল্মে স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্স রয়েছে রণবীর সিং (Ranveer Singh) ও অজয় দেবগণ (Ajay Devgan)-এর। অ্যাড-অন হিসাবে কাজ করেছে ক্যাটরিনা ও অক্ষয়ের ‘টিপ টিপ বরষা পানি’ সং ভার্সন। এই গানটি দর্শক-শ্রোতাদের অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে।