১৪ জুন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মুম্বাইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন। অভিনেতার আত্মহত্যার পর পুরো পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই অভিনেতার পরিবারের সবাই ন্যায় বিচার চেয়ে এসেছেন মোদী সরকারের কাছে। অভিনেতার বাবা বার বার দাবি করেছেন, তার ছেলে কোনোভাবে সুইসাইড করতে পারেনা। তাকে খুন করা হয়েছে। এই মামলা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই শুরু হয় সিবিআই তদন্ত।
ভাইয়ের মৃত্যুর বিচারপর্বের আগে তাঁর দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি নানা ক্যাম্পেনও শুরু করে দিয়েছেন। এই ক্যম্পেনের মূল উদ্দেশ্য হল, ভাইয়ের যে স্বপ্নগুলো অধরা ছিল,সেই ইচ্ছা পূরণ করা। তাঁর দিদি শ্বেতা ফের একবার প্রয়াত আদরের ভাইয়ের স্মৃতির উদ্দেশে শুরু করলেন নতুন সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেন। এছাড়া সুশান্তের অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতার নানান কাজ দিয়ে নিত্যদিন স্মরণ করেন কারণ তারা মনে করেন সুশান্তকে এই ভাবে ভোলা যাবেনা। নিত্যদিন তাই নানান ভাবে মনে করে থাকেন।
অভিনেতা নেই আমাদের মধ্যে। দেখতে দেখতে ৭ মাস অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে সামান্য অভিনেতার মৃত্যুর জট সামান্য হলেও খুলেছে। প্রথমে এই মামলা মহারাষ্ট্র সরকার দেখলেও এই মুহূর্তে মামলার তদন্ত ভার রয়েছে সিবিআই -এর হাতে। মাদক মামলায় নতুন মোড়। সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু তথা সহ পরিচালক ঋষিকেশ পাওয়ারকে এবার মঙ্গলবার বিকেলে আটক করল এনসিবি। ইতিমধ্যেই তাঁকে মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশকিছুদিন ধরেই ঋষিকেশ পাওয়ারের খোঁজ চালাচ্ছিল এনসিবি।
মাদক মামলায় ঋষিকেশ পাওয়ারকে এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। তবে এই মাদক মামলায় তদন্ত করে মাদক সরবরাহকারী, রিয়া চক্রবর্তী সহ একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঋষিকেশ পাওয়ারের নাম জানতে পেরেছিল এনসিবি। তিনিই সুশান্ত সিং রাজপুতকে মাদক সরবরাহ করতেন বলে খবর।
সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সিবিআই থেকে ঋষিকেশ পাওয়ারের নাম উঠে আসে। তারপর ঋষিকেশের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ-হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেন এনসিবি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, গত ৮ জানুয়ারি থেকে ঋষিকেশের খোঁজ চালাচ্ছিল এনসিবি। তবে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে তাকে ধরা হয়েছে।