whatsapp channel

Tathagata-Monu: তথাগতর কাছে সিগারেট চাইতেন মনু মুখোপাধ্যায়!

চলে গিয়েছেন মনু মুখার্জী (Manu Mukherjee), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) ও স্বাতীলেখা (Swatilekha)। চলে গিয়েছে স্বর্ণযুগের রেশ। কিছুদিন আগেই সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা অভিনীত শেষ ফিল্ম ‘বেলাশুরু’-র ট্রেলার লঞ্চ হয়েছে। সেই…

Avatar

Advertisements
Advertisements

চলে গিয়েছেন মনু মুখার্জী (Manu Mukherjee), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) ও স্বাতীলেখা (Swatilekha)। চলে গিয়েছে স্বর্ণযুগের রেশ। কিছুদিন আগেই সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা অভিনীত শেষ ফিল্ম ‘বেলাশুরু’-র ট্রেলার লঞ্চ হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে শিবপ্রসাদ (Shibaprashad Mukherjee) ও নন্দিতা (Nandita Ray) দুই কিংবদন্তীর উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল দুটি প্রতীকি চেয়ার। সবাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। আবারও ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আরও এক মাহেন্দ্রক্ষণ। মনু মুখার্জীকে হারাবার স্মৃতি আবারও আবেগতাড়িত করবে সবাইকে। মুক্তি পেতে চলেছে মনুবাবু অভিনীত শেষ ফিল্ম ‘ভটভটি’।

Advertisements

Advertisements

2019 সালে ‘ভটভটি’-র শুটিং শেষ করেছিলেন মনুবাবু। 2020 সালে সৌমিত্রবাবুর প্রয়াণের পর ডিসেম্বর মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন তিনিও। ঘটনাচক্রে সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) পরিচালিত ফিল্ম ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এ আসল মছলিবাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মনুবাবু ও নকল মছলিবাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্রবাবু। তারুণ্যে ভরা মনুবাবুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ‘ভটভটি’-র পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় (Tathagata Mukhopadhyay) জানালেন, নব্বইয়ের কাছাকাছি বয়সে পৌঁছেও বার্ধক্যজনিত সীমাবদ্ধতা ছাড়া মনুবাবুর আর কোনো সমস্যা ছিল না। বরং ফিল্মের সেটে তিনিই ছিলেন সকলের তুলনায় তরতাজা।

Advertisements

Advertisements

‘ভটভটি’ তৈরির আগে তিন মাস ধরে চলেছিল রিহার্সাল। তথাগতকে অবাক করে দিয়ে মনুবাবুর মতো কিংবদন্তী রিহার্সাল শুরুর আগেই প্রশ্ন করে করে জেনেছিলাম ফিল্মের খুঁটিনাটি। তথাগত ভাবতে পারেন না, মনুবাবুর মতো এক কিংবদন্তী শিল্পী এতটা বিজয়ী ছিলেন। বিনয়ী ছিলেন বলেই মনুবাবু প্রকৃত অভিনেতা হতে পেরেছিলেন। তথাগতর আফশোস, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়নজনিত সৃষ্টির কারণে মনুবাবুর নিজেকে মেলে ধরার যতটা সুযোগ প্রয়োজন ছিল, তা তিনি পাননি।

‘ভটভটি’-তে জাহাজপট্টির বাসিন্দা এক বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনুবাবু। তাঁর সঙ্গী আরও তিন বৃদ্ধ। সবাই মিলে সারাদিন তাস খেলেন ও কূটকাচালি করেন। ফিল্মের সবচেয়ে বড় পাওনা প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় মনু মুখার্জীর উচ্ছ্বসিত নাচ। রিহার্সালে মনুবাবুর উঠে দাঁড়াতে ও বসতে দুজনকে প্রয়োজন হত। কিন্তু সেই মানুষটি শোভাযাত্রায় অত্যন্ত নিখুঁত নেচেছিলেন। শুটিংয়ের সময়েও মনুবাবু একজন তরতাজা জোয়ানের মতোই হাঁটাচলা করতেন, উঠতেন, বসতেন। বাড়িতে ধূমপান করতে দেওয়া হত না মনুবাবুকে। কিন্তু সেটে এসে লুকিয়ে ধূমপান করার জন্য সিগারেট চাইতেন তথাগতর কাছে। কিন্তু ওই কদিনেই মনুবাবুর অভিভাবক হয়ে গিয়েছিলেন তথাগতও। তিনিও কিছুতেই মনুবাবুকে ধূমপান করতে দিতেন না। সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন মনুবাবু। মুক্তি পেতে চলেছে ‘ভটভটি’। তথাগতর বারবার মনে হচ্ছে, অসম্পূর্ণ থেকে গেল একটি বৃত্ত। তাঁর তৈরি ফিল্ম দেখে যেতে পারলেন না মনু মুখার্জীর মতো অসামান্য এক শিল্পী।

whatsapp logo
Advertisements