TDS: এই বিশেষ ধরনের আয়কর থেকে ছাড় পাওয়া যায়, অবলম্বন করুন এই প্রক্রিয়া
প্রতিটি উপার্জনকারী ভারতীয় নাগরিকের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। এই ধরনের আয়ের উপর প্রদত্ত করের তথ্য আয়কর বিভাগে জানানো হয়। পরবর্তীকালে এটি আয়কর বিভাগ থেকে ‘লস ক্যারি-ফরওয়ার্ড’ এবং ‘রিফান্ড ক্লেম’ করার অনুমতি দেয়। ভারতে বিভিন্ন ধরণের আয়করের মধ্যে TDS হল অন্যতম। এই বিশেষ করে নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স (TDS) হল আপনার আয় থেকে যে ট্যাক্স কাটা হয়। অনেক করদাতা বেতন বা বিনিয়োগ আয়ের টিডিএস দ্বারা সমস্যায় পড়েছেন। এটি এড়াতে, আপনি আয়কর বিভাগ থেকে ফেরতের জন্য ফর্মটি পূরণ করতে পারেন। এটি ছাড়াও, আরও অনেক ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি কর কর্তন এড়াতে পারেন। একটি সীমার পরে নির্দিষ্ট উৎস থেকে আয়ের উপর কর কাটা হয়, যাকে বলা হয় থ্রেশহোল্ড সীমা। TDS নির্ভর করে করদাতা কোন বন্ধনীর মধ্যে পড়েন। এর বাইরে TDS বিভিন্ন ধরনের আয়ের উপরও আলাদা।
এভাবে যদি লভ্যাংশ অর্থাৎ আপনার কোম্পানির লাভের পরিমাণ ৫ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে আয়কর দফতর আপনার বেতন থেকে তার উপর TDS কেটে নেবে। এছাড়াও আপনি যদি কোনও ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, এফডি বা অন্য কোনও স্কিম থেকে অর্থ উপার্জন করেন তবে আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে। তবে এর একটা সীমা আছে। এই সীমা সাধারণ নাগরিকদের জন্য ৪০ হাজার টাকা, যেখানে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৫০ হাজার টাকা। যদি এই উৎসগুলি থেকে আপনার আয় এই প্রদত্ত সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আপনার আয় করযোগ্য হয়ে যাবে।
এই নিয়মটি একক আর্থিক বছরে একটি ব্যাঙ্ক থেকে অর্জিত সুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ, আপনি যদি বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এফডি করেন তাহলে আপনি টিডিএস-এ ছাড় পেতে পারেন। তবে এর জন্য মনে রাখতে হবে প্রতিটি ব্যাঙ্কে এফডি আয় যেন ৪০ হাজার টাকার কম হয়। এক্ষেত্রে যদি আর্থিক বছরে আপনার আয় যদি ২.৫ লক্ষ টাকার কম হয়, তাহলে আপনি ফর্ম 15G এবং 15H পূরণ করে কর ছাড় পেতে পারেন। এই ক্যাটাগরিতে গৃহিণী, ছাত্র-ছাত্রীদের মতো ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত।