Hoop Story

হাঁটু গেড়ে বসে ফুল দিয়ে ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন, কি পরিণতি হল শিক্ষকের!

একসময় হামেশাই শোনা যেত, গানের শিক্ষককে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন তাঁর ছাত্রী। এমনকি তবলায় সঙ্গত করতে এসেও কতজন পড়ে গিয়েছেন গান শেখার চেষ্টায় রত ছাত্রীর প্রেমে। তবে সাধারণতঃ শিক্ষক ও ছাত্রীর প্রেম সেকালেও কেউ পছন্দ করতেন না, একালেও নয়। কারণ ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ হল গুরু- শিষ্য পরম্পরা। ফলে সমাজের ভারসাম্য চিড় খায় শিক্ষক ও ছাত্রীর প্রেমে, এমনটা একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও মনে করা হয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চাকরি চলে গেল মনোজ কুমবাং (Manoj Kumbang)-এর।

আসামের ধেমাজি শহরে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক মনোজ কুমবাং। কিন্তু প্রশিক্ষণ দিতে এসে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একজন ছাত্রীর প্রেমে। হাঁটু মুড়ে বসে কেতাদুরস্ত কায়দায় ফুল দিয়ে ছাত্রীকে প্রোপোজ করেছিলেন কুমবাং। অরাজি ছিলেন না ছাত্রীও। তিনি প্রেম প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা যখন ঘটছে, কুমবাং-এর ভালোবাসার পরীক্ষা চলছে, সেই সময় তিনি বা তাঁর প্রেমিকা জানতেন না, ক্লাসের অন্য ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোনের ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যাচ্ছে তাঁদের অভিনব কর্মকান্ড।

ঘটনাটি ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচনার মুখে পড়েন কুমবাং ও তাঁর প্রেমিকা। কিন্তু জল গড়িয়ে যায় অনেক দূর অবধি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্তাদের চোখে পড়লে তাঁরা তৎক্ষণাৎ কুমবাং-কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ছাত্রীটিকেও যিনি কুমবাং-এর প্রেম প্রস্তাব পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন।

তবে প্রেম প্রস্তাব তো গ্রহণ করে নিয়েছেন ওই ছাত্রী। কিন্তু যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে চাকরি খুইয়ে আর কি তাঁকে বিয়ের কথা ভাবতে পারবেন কুমবাং?

whatsapp logo