Bengali SerialHoop PlusTollywood

Pallavi Dey: প্রেমিকের সঙ্গে বিবাদ! মৃত্যুর সময় পাশের ঘরেই ছিলেন পার্টনার সাগ্নিক

অকালে বিদায় নিয়েছেন টেলি পাড়ার মিষ্টি মেয়ে পল্লবী দে। আজ সকালে তার আবাসন থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নিজের আবাসনে বিছানার বেডশিট দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন তিনি। কিন্তু, কেন?

দিব্যি অভিনয় করছিলেন। হাতে ছিল কাজ, এরপরেও কেন মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন? বিভিন্ন ধারাবাহিকে কাজ করেছেন, অর্থাৎ উপার্জনের রাস্তা খোলা, এরপরেও মৃত্যু কেন বেছে নিলেন? রহস্য মৃত্যুর পিছনে কোনো গল্প রয়েছে?

পল্লবীর বন্ধু তথা সহ অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী এই ব্যাপারে বলেন, ‘পল্লবীর সঙ্গে ওর বয়ফ্রেন্ডের সমস্যা ছিল। কী প্রবলেম ছিল জানি না। শুধু জানি ও খুব ভালো মেয়ে এটা করতে পারে না। ওদের দুজনের মধ্যেই সমস্যা ছিল। দুদিন আগে আমরা একসঙ্গে খেতে গিয়েছিলাম, সেদিন সমস্যার কথা বলছিল,ও কাঁদছিল। আমি বলেছিলাম তোরা একসঙ্গে না থাকতে পারলে ব্রেকআপ করে নে। ওর এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’

তাহলে কি love issue এতটাই গভীর হয়ে দাঁড়ালো যেখানে আত্মহত্যা করতে হয়? এদিক, তদন্তের পর পুলিশের বক্তব্য এই যে অনেকদিন ধরেই প্রয়াত অভিনেত্রী লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একই আবাসনে থাকতেন। গতকাল রাতে আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমান দুজন, নয়তো একসঙ্গেই দিন রাত কাটাতেন দুজন। আলাদা ঘরে ঘুমনোর পর, সকালে পল্লবীর লিভইন পার্টনার যান পল্লবীর ঘরে। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকে । অনেক ডাকাডাকির পর লক হোল দিয়ে তিনি দেখতে পান, গলায় বেডশিট দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন পল্লবী। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে প্রাণ ত্যাগ করেন পল্লবী। যদিও, পল্লবীর ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mistuu (@pallavidey153)

অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলেই একটা কথা লিখছেন যে ভাবতে পারছি না। পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম পেজ খুললে সর্বত্র হাসিখুশি ভিডিও ছবিতে ভরপুর থাকে। এত উল্লাসিত একটি মেয়ে সুইসাইড!! উল্লেখ্য, পল্লবীর আরেক সহ অভিনেতা ভরত কল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘গত পরশু অবধি আমরা একসঙ্গে শুট করেছি। ওকে দেখে কখনও মনে হয়নি এরকম কিছু করতে পারে। খুবই প্রাণবন্ত মেয়ে ছিল। কাজে কখনও খামতি দেখা যায়নি। গত ১২ তারিখ আমার মেয়ের জন্মদিনেও গিয়েছিল, অনেকক্ষণ ছিল। কিছুই বুঝতে পারিনি।’

Related Articles