নুসরত(nusrat jahan)-এর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরের মধ্যেই নিখিল জৈন (Nikhil jain)-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন নুসরত। নুসরত জানিয়েছেন, নিখিল তাঁর গয়না ও টাকার অপব্যবহার করেছেন।
নুসরত মিডিয়াতে দীর্ঘ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তুরস্কের বোদরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাঁর ও নিখিলের বিয়ে। কিন্তু তুরস্কের আইন অনুযায়ী এই বিয়ে বৈধ নয়। এছাড়া নুসরত বলেন, নিখিল হিন্দু ও তিনি মুসলমান। এই কারণে বিশেষ বিবাহ আইনে তাঁদের বিয়ে না হলে সেই বিয়ে বৈধতা পায় না। অতএব তিনি নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপে ছিলেন যা বহুদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নুসরত অভিযোগ করেছেন, জৈন পরিবার তাঁর সমস্ত গয়না আটকে রেখেছেন। এছাড়া নিখিল এক রাতের মধ্যে নুসরতের অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সরিয়ে নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছিল নিখিলের সঙ্গে নুসরতের বিচ্ছেদের পর। নুসরত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে বিবৃতিতে কোথাও নিখিলের নাম উল্লেখ করেননি নুসরত। কখনও তিনি বলেছেন ‘সামওয়ান’, কখনও ‘রিচ গাই’, কখনও ‘এনিওয়ান’।
নিখিল এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতের বিচারাধীন রয়েছে সেহেতু 20 শে জুলাই-এর আগে তিনি কিছু বলতে চান না। তাহলে তুরস্কের বোদরুমে 2019 সালের 19 শে জুন ও 20 শে জুন দুটি রীতি মেনে পরিবারের উপস্থিতিতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিখিলকে কেন বিয়ে করেছিলেন নুসরত যখন তিনি জানতেন এই বিয়ে আইনত অবৈধ। কেনই বা শহরে ফিরে 2 রা জুলাই নিখিল ও নুসরতের গ্র্যান্ড রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছিল? সেই রিসেপশনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র মতো ব্যক্তিত্ব।
নিখিল ও নুসরতের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন কেন হয়নি? আধুনিক যুগে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো বিয়ে হয় না। এমনকি জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কখনও লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকার কথা ঘোষণা হয় না। নুসরত এই বিয়েকে অবৈধ বললেও নিখিল কিন্তু একবারও এই বিয়েকে অবৈধ বলেননি। এমনকি বিয়ের পর নুসরত পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন হিন্দু বৌয়ের সাজে শাঁখা-সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরে। তাঁকে নিখিলের সঙ্গে একাধিক স্থানে, ইভেন্টে ও পার্টিতে দেখা গিয়েছে। সব জায়গায় তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। হঠাৎই যশ দাশগুপ্ত (yash Dasgupta) নুসরতের জীবনে আসতেই সবকিছু অবৈধ ঘোষণা করে দিলেন নুসরত। নিখিল কিন্তু নুসরতের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন পরকীয়ায় জড়াননি। কিন্তু নুসরত পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।
নিখিলের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, নুসরত বান্ধবীদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাওয়ার নাম করে যশের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় নিখিল সেই স্থানের টিকিট ও রিসর্টের বুকিং করেছিলেন। রিসর্টের মালিক ছিলেন নিখিলের পরিচিত যিনি নিখিলকে নুসরত ও যশের একসঙ্গে ছুটি কাটানোর ঘটনাটি জানান। এছাড়াও নুসরতের সঙ্গে যশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছিলেন নিখিল। নুসরত এখনও যে ফোর্ড গাড়িটি ব্যবহার করেন তা নিখিলের। এমনকি নিখিলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন নুসরত। এখন যে বিয়েকে নুসরত অবৈধ বলছেন, সেই বিয়ের পর তিনি নতুন নাম নিয়েছিলেন। নামটি ছিল ‘রুহি জৈন’। এমনকি পার্লামেন্টেও নুসরতের পরিচয় ছিল ‘নুসরত রুহি’ নামে। অত বড় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। যদি নিখিল ও নুসরতের বিয়ের অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন না হয়, তাহলে তার পিছনে কে মদত দিয়েছিলেন? কেনই বা রেজিস্ট্রেশন না করার বিষয়টি নিখিল সমর্থন করেছিলেন? উত্তর পেতে হলে আপাতত অপেক্ষা করতে হবে 20 শে জুলাই পর্যন্ত।