Vastu Plants: পৌষমাসেও টান পড়বে না পকেটে, বাড়ির দক্ষিণ দিকে রেখে দিন এই ৪ গাছ
বহু শতাব্দী ধরে এই বাস্তুশাস্ত্র আমাদের বসতবাড়ি সাজানো গোছানোর বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে আসছে। বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখলে, বাড়িতে লক্ষ্মীর বসবাস হয়, সেই বিষয়েও নানা মত দিয়ে থাকেন বাস্তুবিদরা। তেমনই বাড়িতে কোন গাছ লাগলে, সেই বাড়িতে সমৃদ্ধির দেবীর কৃপা বর্ষণ হয়, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। এককথায়, আমাদের জীবনের উপর বিভিন্ন জিনিসের শুভ ও অশুভ প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয় এই শাস্ত্রে। অনেকেই মনে করেন, এর ফলে আমাদের জীবনের পথ অনেকটা সুগম হয়ে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়ির বাইরে ও ভেতরে বেশ কিছু গাছ রাখা হলে, তার প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনের উপর। কারণ কিছু গাছের যেমন নেতিবাচকতা দূর করার শক্তি থাকে, তেমনই, কিছু গাছ বাড়িতে রাখা হলে দেবদেবীর কৃপালাভ হয়ে থাকে। তেমনই কিছু গাছ হল মানিপ্ল্যান্ট, জেড প্ল্যান্ট, লাকি প্ল্যান্ট, ফ্রেন্ডশিপ প্ল্যান্ট ইত্যাদি। আর এমনই কিছু গাছ বাড়িতে রাখা হলে সংসারে আসে সুখের জোয়ার। একনজরে দেখে নিন সেইসব গাছগুলির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
● মানি প্ল্যান্ট: মূলত ভিনদেশী ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে পরিচিত এই গাছটি। এটি এক ধরণের সুদৃশ গাছ হিসেবেও পরিচিত। তবে বাড়ির দক্ষিণ কোনায় এই গাছের তবে রাখা হলে সেই বাড়ির সদস্যদের ভাগ্য ফিরে যায়। এছাড়াও বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব দিকে মানি প্ল্যান্ট থাকলে সেই বাড়ির উপর দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে।
● নিম গাছ: নিম গাছ হল একটি জনপ্রিয় ভেষজ গাছ। এছাড়াও হিন্দুধর্মে নিম গাছকে শুভ বলে মানা হয়। কারণ নিম গাছের কাঠ দিয়ে অনেক দেবমূর্তি তৈরি হয়। তাই নিম গাছ বাড়িতে থাকলে তার শুভ প্রভাব পড়ে বাড়ির সদস্যদের জীবনে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে নিম গাছ রাখা হলে সেই বাড়িতে অর্থাভাব হয়না।
● জুঁই গাছ: আমাদের অনেকেরই বাড়িতেই ফুলের গাছ রয়েছে। আর সুগন্ধি ফুলের মধ্যে অন্যতম হল জুঁই ফুল। কারণ এই ফুলের সুগন্ধে ভরে ওঠে গোটা বাড়ি। তবে জুঁই ফুলের গাছ বাড়িতে থাকলে দাম্পত্য জীবীন সুখকর হয় বলে মনে করা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। তবে তার জন্য গাছটিকে বাড়ির দক্ষিণ দিকে রাখা উচিত।
● এলোভেরা গাছ: মূলত ত্বকওর যত্নের জন্য এলোভেরা ব্যবহৃত হয়। সেই কারণে অনেকেই এই গাছ বাড়িতে লাগিয়ে থাকেন। তবে সঠিক দিকে এই গাছ লাগানো হলে, তা ভাগ্যরেখা বদলে দিতে পারে। দক্ষিণ দিকে হল এই গাছ লাগানোর শুভ দিক।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর রচিত। কোনোরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া প্রতিবেদকের অভিপ্রায় নয়।