একবার শুরু করলে নিশ্চিন্তে চলবে ৭০ বছর পর্যন্ত, এই ব্যবসায় লক্ষ্মী আসবেন ঘরে
বর্তমানে আর্থিক বাজারের দিকে তাকিয়ে একটি স্থায়ী কাজের পাশাপাশি উপরি আয় করতে পারলে সবার মুখেই হাসি ফোটে। বিশেষ করে বাড়ির মহিলারা সংসার খরচ এবং হাত খরচের জন্য ছোটখাটো ব্যবসার (Home Business) চেষ্টা করে থাকেন। বাড়িতে বসেই করা যায় এমন ধরণের কাজ বা ছোটখাটো ব্যবসার সুযোগ খুঁজে থাকেন এখন বহু মহিলাই। তবে ছোট হোক বা বড়, একটি ব্যবসা শুরু করা তো মুখের কথা নয়। ব্যবসা শুরুর মূলধন থেকে শুরু করে আদৌ টাকা আসবে কিনা বা ব্যবসা আরো কীভাবে বড় করা যায়।
বর্তমানে অবশ্য মহিলাদের জন্য অনেক রকম কাজই এসে গিয়েছে। নানান ছোটখাট ব্যবসা, হস্তশিল্পের কাজ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন বহু মহিলা। বিভিন্ন জেলার, গ্রামাঞ্চলের মহিলারাও আয় করে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন, সংসারেও টাকা দিচ্ছেন। এই প্রতিবেদনে এমন একটি উপায়ের কথা জানাব যার সাহায্যে কম সময়েই বেশ মোটা অঙ্কের টাকা আয় করা সম্ভব। আর অনেক দিন পর্যন্তও আয় করা যাবে এই ব্যবসা থেকে।
কথা হচ্ছে, সুপারি চাষের ব্যবসার ব্যাপারে। কম মূলধনেই এই ব্যবসা শুরু করার পর ৭০ বছর পর্যন্ত পাওয়া যাবে আয়। কিন্তু কীভাবে করা হবে সুপারি চাষ, কত লাভই বা করা যাবে এই ব্যবসা থেকে? বিভিন্ন কাজে সুপারির চাহিদা অত্যন্ত বেশি। জানলে অবাক হবেন, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ সুপারি ভারতেই চাষ হয়। বাজারে ১ কেজি সুপারি থেকে প্রায় ৪০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। সুপারির গাছ যত বেশি হবে আয়ও তত বাড়বে। আর গাছ বড় হলে ৭০ বছর পর্যন্ত চালানো যাবে এই ব্যবসা। কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে সুপারির ব্যবসা থেকে।
দোআঁশ এঁটেল মাটি সুপারি চাষের জন্য সবথেকে বেশি ভালো বলে মনে করা হয়। সুপারি চাষ করার পদ্ধতি রইল এই প্রতিবেদনে। প্রথমে সুপারির চারা তৈরি করে বেডে বীজ তৈরি করে নিতে হবে। তারপর নার্সারির পদ্ধতিতে তৈরি করতে হবে চারা। সেই চারাগুলি তারপর রোপণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে জমিতে যেন জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক থাকে। সার হিসেবে গোবর সার এবং কম্পোস্ট সার ভালো। সুপারি চাষের জন্য জুলাই মাসই উপযুক্ত বলে মানা হয়। চারা রোপণ করার সাত থেকে আট বছর পর থেকে ফলন ভালো হয়। তিন চতুর্থাংশ পাকা ফল হলে তুলে নিতে হবে।