Skin Care: পাবেন কাঁচের মতো স্বচ্ছ ত্বক, ফেলে দেওয়া এই উপকরণেই মিলবে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন
উজ্জ্বল মসৃণ ত্বক কে না চায়? আর যারা যারা হালফিলের ট্রেন্ড সম্পর্কে পরিচিত তারা খুব ভালো ভাবেই জানেন বর্তমানে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন (Korean Glass Skin) কতটা চর্চায় রয়েছে। কাঁচের মতো স্বচ্ছ, দাগহীন ত্বক, তাও আবার মেকআপ বা কোনো রকম হাইলাইটার ছাড়াই। এমন স্কিন পেতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করতেও দ্বিধা করেন না অনেকে। তবে যদি জানাই যে টাকা খরচ না করে স্রেফ একটি উপকরণেই পাওয়া, সম্ভব এমন কাঁচের মতো ত্বক?
ভাত তো কমবেশি সকলের বাড়িতেই রান্না করা হয়। কিন্তু ভাত করার পর উপুড় দিয়ে ফ্যান ঝরিয়ে ফেলা হয়। তবে জানেন কি, ভাতের এই ফেলে দেওয়া মাড়েই রয়েছে গ্লাস স্কিনের রহস্য। কীভাবে ত্বক এবং চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন ভাতের মাড়? স্নানের জলের সঙ্গে ভাতের মাড় মিশিয়ে দিনে অন্তত দুবার স্নান করলে ত্বকের জ্বালা ভাব, চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মুখে ব্রণর সমস্যা বেশি হলে ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করে ব্রণর জায়গায় লাগাতে হবে। দিনে দুবার তুলো দিয়ে ভাতের মাড় লাগালেই ব্রণর প্রকোপ কমবে। হাত পায়ের ট্যান পড়ে যাওয়া অংশে তুলো দিয়ে ভাতের মাড় লাগালে ট্যান তো উঠবেই। সেই সঙ্গে ফিরবে ত্বকের জেল্লা। ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। পাশাপাশি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ভাতের মাড়। বয়সের ছাপ পড়া থেকেও রক্ষা করে।
চুলের যত্নেও ভাতের মাড় খুব উপকারী। চুলে শ্যাম্পু করার পর ভাতের মাড়ে জল মিশিয়ে ঠাণ্ডা করে চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে তিন মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে ভালো করে। এতে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করে হেয়ার ফল কমায় ভাতের মাড়। চুল চকচকে সিল্কিও করে। এছাড়া শরীরে অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করে ভাতের মাড়।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।