whatsapp channel

প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে কাটা হাতেই মাইক ধরে অনায়াসে দুর্দান্ত গান গাইলেন পাহাড়ি প্রতিযোগী, রইলো ভিডিও

শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বভারতীয় সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-র চলতি সিজন। প্রতি বছর তাক লাগানো প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন এই শোয়ে। তাঁরাই প্রমাণ করে দেন, কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাঁদের আটকাতে পারে না। এই…

Avatar

HoopHaap Digital Media

শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বভারতীয় সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-র চলতি সিজন। প্রতি বছর তাক লাগানো প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন এই শোয়ে। তাঁরাই প্রমাণ করে দেন, কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাঁদের আটকাতে পারে না। এই ঘটনার উদাহরণ হলেন থাপ্তেন সারিং (Thupten Tsering)।

অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা থাপ্তেন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ইলেকট্রিক শকের কারণে নিজের দুই হাত হারিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অদম্য। 2016 সালে জনপ্রিয় সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ তাঁকে গাইতে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। সেই থাপ্তেন আবারও ফিরেছেন ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চে। ইতিমধ্যে আঞ্চলিক ভাষায় রিলিজ করেছে তাঁর মিউজিক ভিডিও। থাপ্তেনকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন ‘সারেগামাপা’-র তিন বিচারক হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya), শঙ্কর মহাদেবন (Shankar Mahadevan), বিশাল দাদলানি (Vishal Dadlani)। তাঁরা শুনেছেন থাপ্তেনের লড়াইয়ের কথা। মুগ্ধ হয়েছেন তাঁর গানে।

থাপ্তেন জানিয়েছেন, পাঁচ বছর বয়সের সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জীবন। খাবার খাইয়ে দিতে হত মাকে। থাপ্তেনের মা-বাবা ভাবতেন, তাঁদের মৃত্যু হলে থাপ্তেনের পরিণতি কি হতে পারে! কিন্তু বিধির বিধান ছিল অন্য। এক বৌদ্ধ লামার হাত ধরে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন থাপ্তেন। বাঁচতে শিখেছিলেন নিজের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে। ধীরে ধীরে নিজের হাতে সব কাজ করতে শিখেছেন থাপ্তেন। সবাইকে অবাক করে দিয়েই আজ তিনি কাটা হাতে ছবি আঁকেন, ভলিবল খেলেন। এছাড়াও তিনি ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলেন। বাদ যায়নি গাড়ি ড্রাইভিং-ও।

কখনও গান না শিখেও থাপ্তেন গান গেয়ে বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছেন। হিমেশ বলেছেন, থাপ্তেনের কন্ঠ ঈশ্বরের আশীর্বাদ। শঙ্কর মহাদেবনের মতে, এমন টোনাল কোয়ালিটি রেকর্ডিং স্টুডিওতেও দেখতে পাওয়া যায় না। তিন বিচারক ও জুরি সদস্যদের ভোট পেয়ে থাপ্তেন সফলতার সঙ্গে পেরিয়ে গিয়েছেন অডিশন রাউন্ড।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media