whatsapp channel
Bengali SerialHoop Plus

Tiyasha Roy: ‘নেই কলটাইম, কোথাও বেরোনোর তাড়া নেই’, ‘কৃষ্ণকলি’ শেষে মুখ খুললেন তিয়াশা রায়

চার বছর লাগাতার সম্প্রচারিত হয়েছে ‘কৃষ্ণকলি’। জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কৃষ্ণকলি’-র শুরুর দিকে সঙ্গী ছিল বহু বিতর্ক। কিন্তু সবকিছু পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ‘কৃষ্ণকলি’। তবে যা শুরু হয়, তা একদিন শেষ হয়। অতএব সম্প্রতি শেষ হয়ে গিয়েছে ‘কৃষ্ণকলি’। কিন্তু ‘শ‍্যামা’ তিয়াশা রায় (Tiyasha Roy) এখনও সেই ঘোর কাটাতে পারেননি। তবে এখন তেরো নম্বর স্টুডিওতে যাওয়ার তাড়া নেই।

তিয়াশা ভাবছেন, অ্যালার্ম দিয়ে শোওয়ার অভ্যাসে এবার বদল আনবেন। রাতে ফোন চার্জ দিতে গিয়েও দিচ্ছেন না তিনি। মনে হচ্ছে, “কি হবে দিয়ে?” কারণ পরের দিন নেই কলটাইম। কোথাও বেরোনোর তাড়া নেই। উনিশ বছরের বয়সে হয়েছিলেন ‘কৃষ্ণকলি’ শ‍্যামা। আজ তিনি তেইশ। কিন্তু হঠাৎই শেষ হয়ে গেল জার্নিটা। শুটিংয়ের শেষ দিন তিয়াশা স্টুডিও থেকে চলে আসার আগে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এই চার বছরে তাঁর মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা! তিয়াশার মনে হয়, অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাঁর। অনেক পরিণত হয়েছেন তিনি। অনেক কিছু বুঝতে শিখেছেন। এখন আর হুট করে রেগে যান না তিয়াশা। একসময় ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হত তাঁর। এখন আর হয় না।

‘কৃষ্ণকলি’র শেষের দিনগুলিতে তিয়াশাকে ঘুম থেকে কাউকে ডাকতে হত না। নিজেই উঠে শুটিংয়ে চলে যেতেন। এমনকি হয়েছে তাঁর মেকওভার। তেরো নম্বর স্টুডিওতে শুটিংয়ের শেষ দিন বেরিয়ে আসার সময় নিজের জিনিসগুলো বার করে আসছিলেন তিয়াশা। এতদিন স্টুডিও হয়ে উঠেছিল তাঁর সংসার। মেকআপ রুমে রাখা থাকত একটি বালিশ যাতে শুটিংয়ের মাঝে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। বালিশটি গাড়িতে তোলার সময় তিয়াশার মনে হয়েছিল, তার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। কান্না পাচ্ছিল তাঁর। ‘কৃষ্ণকলি’র শ‍্যামার মৃত্যু হয়েছে তিয়াশার কাছে। কিন্তু জীবনের প্রথম ধারাবাহিক রেখে গেছে অনেক স্মৃতি। সবার সঙ্গে রোজ দেখাও হবে না।

আপাতত একটা মাস নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে চান তিয়াশা। তবে কাজে ফিরবেন খুব তাড়াতাড়ি। তাঁর মনের মণিকোঠায় রয়ে গেছে শ‍্যামা। কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসায় তিয়াশাকে যে ফিরতেই হবে।

whatsapp logo