Lifestyle: দীপাবলির সন্ধ্যায় এই উপায়ে ঘর সাজান, সংসারে নেমে আসবে সুখের জোয়ার
পেরিয়ে গেছে দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজো। তবে তাতেও উৎসবের শেষ হয়নি। উৎসবের মরশুম জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এখন বাঙালির দরজায় কড়া নাড়ছে কালীপুজো ও আলোর উৎসব দীপাবলি। আগামী রবিবার কালীপুজো। গোটা বাংলায় এটি যেমন শক্তির উপাসনার একটি বিশেষ দিন, তেমনই গোটা দেশে এই দিনেই পালিত হয় আলোর উৎসব দীপাবলি। তাই এখন মোটামুটি উৎসবের মেজাজেই রয়েছে গোটা দেশ। বিশেষ করে জোড়া উৎসবের আনন্দে ভাসছে গোটা রাজ্য।
তবে এই আলোর উৎসব দীপাবলিকে ঘিরে বাস্তুশাস্ত্রে রয়েছে একাধিক নিয়ম। যেহেতু এই দীপাবলির রাতে অমাবস্যা থাকে এবং সেই রাতে অশুভ ও নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়ে, তাই এই বিশেষ রাতে বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘর সাজানো হলে তার ভালো প্রভাব পড়ে ঘর সংসার ও জীবনের উপর। কারণ যেভাবে আলো দিয়ে অন্ধকারকে দূর করতে এই দিনে প্রদীপ, মোমবাতি সহ নানা রকমারি আলো জ্বালানো হয়ে থাকে, সেভাবেই এদিন ভাগ্যচক্র থেকেও অশুভ শক্তির প্রভাব বিনাশ করা যায় নানা উপায়ে। এর জন্য বাস্তুশাস্ত্রে রয়েছে একাধিক নিয়ম। এই নিয়মগুলি মেনে চললেই দীপাবলির পর সুখের জোয়ার আসবে জীবনে।
● ঘর পরিষ্কার করা: দীপাবলির আগে ঘর পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। এতে মা লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকবে সংসারের উপর। তবে শুধুমাত্র ঘকরে ভেতর নয়, আলোর উৎসবের আগে ঘরের বাইরের স্থানও পরিষ্কার রাখা উচিত।
● দক্ষিণমুখী দরজার প্রতিকার: বাড়ির মূল দরজা দক্ষিণ দিকে থাকলে দীপাবলির দিনে সেটিকে অশুভ গণ্য করা হয়। তবে এর প্রতিকার করা সম্ভব। এর জন্য দরজার ফটকের সামনে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি রাখা দরকার। এতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর হয়।
● স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা: দীপাবলির আগে মা লক্ষ্মী ও গণেশের আশীর্বাদ পেতে ঘরের জানালা ও দরজায় সিঁদুর, হলুদ ও সর্ষের তেল দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা দরকার। এটি খুবই শুভ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
● আলোকসজ্জা: দীপাবলির রাতে ঘরের কোণায় কোণায় আলোর অস্তিত্ব রাখা উচিত। তাই ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর করতে এই বিশেষ সন্ধ্যায় চারদিকে প্রদীপের আলো পৌঁছে দিন। এতে সংসারের উন্নতিসাধন ঘটবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।