Prevent Snakes: বাড়ির চারপাশে সাপের উপদ্রব কমাতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
বর্ষাকাল মানেই সাপের উত্পাত। গ্রামে গঞ্জে তো বটেই শহরাঞ্চলেও অনেক সময় সাপ দেখা যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে ঘরে সাপ ঢুকে পড়ার ভয় করেন অনেকেই। এদিকে সাপকে ভয় করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার একটাই কারণ, সাপের মধ্যে থাকা বিষ। জানা যায়, সাপের বিষ হল এক ধরনের লালা জাতীয় পদার্থ। এর উপাদান হল প্রোটিন ও এনজাইম। তবে প্রোটিন ও এনজাইম ছাড়াও সাপের বিষে থাকে নিউরোটক্সিন ও জিংক সালফাইড। এই নিউরোটক্সিন অত্যন্ত বিষাক্ত।
আমাদের রাজ্যে একাধিক বিষধর সাপ রয়েছে। বাংলার বিষধর সাপের তালিকায় প্রথমেই আসে গোখরো সাপের নাম। গোখরোর বিষ ‘নিউরোটক্সিন’এবং ‘কার্ডিওটক্সিন’ হওয়ার কারণে সেটি স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে। তাই কামড়ের কিছুক্ষন পরেই পেশীর কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারপরে শ্বাসকষ্ট এবং হৃদপিণ্ডের ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও বাংলার আরেক ভয়ানক সাপ হল কালাচ। এই সাপের দংশনের পর সময়মতো অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন না নিলে মৃত্যু অনিবার্য। গ্রাম বাংলায় এই সাপটি কালচিতি, ডোমনাচিতি, শিয়রচাঁদা, শঙ্খচিতি নামেও পরিচিত। তবে অজগর, ময়াল সাপ, লাউডগা সাপ, কালনাগিনী, ঘরচিতি ইত্যাদি সাপের দেহে বিষ থাকেনা।
এবার এই সাপের উপদ্রব থেকে কিভাবে মুক্তি মিলবে। এর জন্য সর্বপ্রথম ঘরবাড়ি ও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। মূলত অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় এই সাপের উপদ্রব বেশি হয়ে থাকে। তাই বাড়ির পাশাপাশি ঝোপঝাড় বা বর্জ্র পদার্থ জমতে দেবেন না। এছাড়াও রান্নাঘর ও বাথরুমের নালাগুলিকে জাল দিয়ে মুখবন্ধ করুন। এতে ঘরে সাপ ঢুকতে পারবেনা। এছাড়াও নিয়মিত বাড়ির বাইরে কার্বলিক এসিড বা ব্লিচিং পাউডার বা ফিনাইল ছড়িয়ে রাখুন। এসবের তীব্র গন্ধে সাপ বাড়ির আশেপাশে আসবেনা।
তবে বিষধর কোনও সালে কাটলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। তত আগে হাত বা পা ভাঙলে যেমন করে শক্ত কিছু দিয়ে কাপড় দিয়ে হলকা করে বাধা হয়, সেভাবে বাধুন ক্ষতস্থান। এছাড়াও সাপে কাটা পেশী যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করুন, পেশীর নড়াচড়া যত কম হবে, বিষ তত কম ছড়াবে।এছাড়াও চিকিৎসক দেখার আগে পর্যন্ত রোগীর কিছু খাওয়া যেমন উচিত নয়, তেমনই ক্ষতস্থানে কোন মলম বা মালিশ লাগানো উচিত না।