বাংলা সিনেমা জগতে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় একটি উল্লেখযোগ্য ও চর্চিত নাম। সেই ১৯৯৭ সালে মায়ার বাঁধন এ অভিনয় করার মধ্যে দিয়ে হাতেখড়ি হয় তার। এরপর ২০০৩ এ চ্যাম্পিয়ন। ঠিক তখনই বিয়ে করেন পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করে ঘোর সংসারী হয়ে যান তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন যেতে না যেতেই দুজনের মধ্যে মত পার্থক্য শুরু হয়। এরপর শুরু হয় বিবাহ বিচ্ছেদ। শ্রাবন্তী অভিযোগ করেন রাজীব তাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতেন। তখনই শ্রাবন্তীর ছেলে অভিমন্যুর জন্ম হয়।
রাজীবের সঙ্গে শ্রাবন্তীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ২০১৬ তে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাংলা সিনেমায় দেখা যায় অভিনেত্রীকে। ২০০৩ এর পর ২০০৮ এ করলেন মুভি ভালবাসা ভালবাসা। এরপর গয়নার বাক্স, বিন্দাস সহ বহু মুভিতে শ্রাবন্তী চুটিয়ে অভিনয় করে গেছেন। তবে তার কিছু বছর যেতে না যেতেই শ্রাবন্তী ২০১৬ তে একেবারে বিবাহ বিচ্ছেদ করে বেরিয়ে আসেন এবং আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিষান ব্রজ নামে একজন মডেল এর সাথে বিয়ে হয় তার। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই তার সাথেও বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শ্রাবন্তীর।
একাকী জীবন যে খুব কষ্টের তা হয়ত প্রিয় জামাইবাবু বুঝেছিলেন, তাই হট শ্যালিকার জন্য নিয়ে এলেন নতুন বর। হ্যা, শ্রাবন্তীর দিদি ও জামাইবাবুর মাধ্যমে পরিচয় হয় রোশন সিং এর সাথে তার। শুরু হয় নতুন প্রেম, এবং চুপি চুপি বিয়েও করে নেন তারা। বেশ সুখেই সংসার করছিলেন শ্রাবন্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ছবি পোস্ট, দেদার মজা, কিন্তু হায়রে কপাল লক ডাউন যে সম্পর্ককেও লক ডাউন করে দেবে তা কে জানত? জানা গিয়েছে, করোনা আবহয়ের সময় থেকেই দুই কপোত কপোতী আলাদা আলাদা থাকতেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সমস্ত ছবি গায়েব হয়ে গেল। অনুরাগীদের কৌতূহল দ্বিগুণ হতে লাগলো। সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা পাড়ার ক্লাব সব জায়গায় চর্চা চলছে শ্রাবন্তীর তৃতীয় বিয়ে ভাঙনের। এতদিনে স্পষ্ট যে এই দুজনের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হয়েছে কিন্তু কী কারণে এই অধঃপতন তা কেউই বলেননি।
বর্তমানে ছেলে ঝিনুক ও ঝিনুকের মডেল গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে দিব্যি আছেন শ্রাবন্তী। এরইমধ্যে করে ফেললেন মুভি টেকো ও ছবিয়াল। জানা গিয়েছে প্রতিটা ছবির জন্য শ্রাবন্তী প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ধার্য করেন। এছাড়াও যেই ফ্ল্যাটে তিনি এখন আছেন সেই ফ্ল্যাটের দামও যথেষ্ট।