শীঘ্রই আসতে চলেছে সুখবর, আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান সেরে ফেললেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা
কোনো বৌকে বৌভাতের সন্ধ্যেতে শ্বশুরবাড়ির সকল সদস্যদের নিয়ে টুইস্ট গানে নাচতে দেখেছেন? এ আর কারোর বিয়ে না সৌজন্য আর গুনগুনের বিয়ে! আর এই বিয়ের নানান মুহূর্তকে ট্রাম্প কার্ড বানালেন পরিচালক মশাই। কখনো বর বিয়ে করতে আসলে বর দেখতে চলে আসে নতুন বৌ তো কবার কখনো সাত পাকে ঘোরার সময় বেজে উঠলো নিশান লাগিলো রে গান। আবার বাসর রাতে বৌমা শ্বশুর হেড়ে গলায় গান গায়। আবার বাসরে স্ত্রীকে আলিঙ্গন না করায় স্বামীর ওপর বেজায় চটে গুনগুন। আর এইসব খুনসুটি আর নাচ গান দেখার জন্য বসে দর্শক। আবার বাসর রাতে ক্রেজির গান শুনে বেশ মুগ্ধ গুনগুন। আর এতেই টিআরপি মোহরকে পিছিনে ফেলে প্রথম বার নয় পরপর দু বার এগিয়ে গেল গুনগুন। অবশ্য এর পিছনে নেপথ্যে দায়ী ধারাবাহিকে চিত্রনাট্য আর দর্শকের ভালোবাসা।
ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠান হল। এবার রিসেপশানের রাত। গুনগুন সুন্দর করে সেজে বসে আছেন। আর সেখানেই গুনগুনের পিস্তত দিদি তিন্নি দিদির আগমন। তিন্নির সাথে কথা বলতে ব্যস্ত সৌজন্য আর তাই দেখে গুনগুনের হিংসে হয়। তাই তো সৌজন্যকে তিন্নির কাছ থেকে জোর করে সরিয়ে আনতে গেলে দিদির কাছেই ‘পাগল’ তকমা পায় গুনগুন। সবার সামনে স্ত্রীর এই অপমান গায়ে লেগে যায় সৌজন্যর। পরে গুনগুনের সামনেই সে অকপটে বলে বসে ‘আমরা বউকে কেউ আমার সামনে খারাপ বলবে সেটা আমার গায়ে লাগছে’। কিছুক্ষণ পর সব ভুলে যখন গুনগুন টুইস্ট গানে পুরো পরিবারের সাথে হুল্লোড় করতে ব্যস্ত তখন সৌজন্য মনে মনে বলে উঠলো, “আমার বৌ হয়তো পাগল কিন্তু মন টা খুব ভালো” তাহলে ১বছরের কনট্রাক্ট ম্যারেজ ভুলে একসঙ্গে থাকার শপথ ভুলে কী আজীবনের জন্য একসঙ্গে থাকবে সৌজন্য-গুনগুন? মনের গোপন অনুভূতিগুলো কীভাবে বুঝবে তাঁরা, সেই নিয়েই এগোবে ধারাবাহিকের পরবর্তী কাহিনি। অবশ্য তা জানতে প্রতিদিন সাড়ে সাতটাতে দেখতে হবে খড়কুটো।
রিল লাইফে গুনগুনের বিয়ে বৌভাত সম্পন্ন হলে রিয়েল লাইফে তৃণারও বিয়ে। পাত্র আর কেউ নন, সে হল কৃষ্ণকলির নিখিল। ১০ বছরের প্রেমকে পূর্ণতা দেবে আসছে বছরে ২০২১ সালে। ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে বিয়ে করছেন এই জুটি। বাবা মায়ের উপস্থিতিতে নিজেদের বিয়ে সাড়বেন এরা। এই নিয়ে বেশ উৎসুক এই লাভ বার্ডস। আর বিয়ের পর গ্রীসে উড়ে যাবেন নিজেদের হানিমুন সাড়তে। ইতিমধ্যে এদের অনুগামীরা এই জুটিকে বিয়ের সাজে দেখতে আগ্রহী। ৪ ঠা ফেব্রুয়ারী গাঁটছাড়া বাঁধতে চলেছেন এই জুটি। সম্প্রতি ব্যস্ত শ্যুটিং এর মধ্যে ফাঁক বের করে শহরের এক বিলাসবহুল রিসর্টে নিজের বন্ধুদের সাথে ব্যাচেলার পার্টি সেড়ে নিলেন। বেশ আনন্দ, হই হুল্লোড় করে আর নাচ গানে নিজেদের ব্যাচেলার পার্টি সেড়েছেন অভিনেত্রী।
রিল হোক কিংবা রিয়েল সবেতেই তৃণা সাহা নিজের জীবনে হাসি মজা আর হই হুল্লোড় করতে বেশ ভালোবাসে। বিয়ের অনুষ্ঠান হতে আর বেশি দেরী নেই আর এর মধ্যেই বিয়ের আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। আজই শুরু হয়ে গিয়েছে আইভুরোভাত পর্ব। প্রত্যেক বাঙালি মেয়ে বিয়ের আগে নিজেদের প্রিয়জনদের কাছে আইবুরোভাতের খাওয়া দাওয়া পর্ব শুরু হয়ে যায়। তৃণা সাহাও তার ব্যতিক্রম নন। রবিবার মামাবাড়িতে প্রথম আইবুড়ো ভাত খেলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। প্রথম আইবুড়ো ভাতের দিন নীল সুতির শাড়ি আর রানী রঙের ব্লাউজে বাঙালি মেয়ের সাজেই সেজেছিলেন অভিনেত্রী। আইবুড়ো ভাতের মেনুটা ছিল বেশ রাজকীয়। সবই তৃণার পছন্দের মেনু ছিল। ভাতের সঙ্গে মাছ ভাজা, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, বড়া, কুমড়ো ভাজা, শাক ভাজা, পাবদা মাছের ঝাল, কাতলা মাছের কালিয়া, পনীর, চাটনি, পায়েস, পাঁচরকম মিষ্টি। আর এই খাবারের ছবি নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে অভিনেত্রী শেয়াত করেছেন সাথে মামার বাড়ির পরিবারের সাথে পোজ দিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল এই আইবুরোভাতের পোস্ট।
View this post on Instagram