নব্বইয়ের দশকে বলিউডে ঝড় তুলেছিল ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। সলমান খান (Salman Khan)-এর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন এক মিষ্টি সুন্দরী। এটি ছিল তাঁর ডেবিউ ফিল্ম। পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। কিন্তু হঠাৎই তিনি সরে গেলেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে। তিনি, ভাগ্যশ্রী পট্টবর্ধন (Bhagyashree Patwardhan)। অভিনেত্রী নন, প্রকৃত রাজকুমারী তিনি।
View this post on Instagram
মারাঠী রাজপরিবারের কন্যা ভাগ্যশ্রী দেখতে দেখতে পার করে ফেললেন তিপ্পান্নটি বসন্ত। তাঁর পিতা বিজয় সিং রাও মাধব রাও পট্টবর্ধন ছিলেন মহারাষ্ট্রের সাংলির রাজা। রাজন্য প্রথা বিলুপ্ত হলেও খেতাব রয়েই গিয়েছিল। ফলে ভাগ্যশ্রীর বলিউডে প্রবেশ কিছুটা লড়াই করেই। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ তাঁর লড়াইকে সার্থক করেছিল। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু ফিল্ম নয়, 1987 সালে টেলিভিশনে ‘কাচ্চি ধুপ’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ডেবিউ করেছিলেন ভাগ্যশ্রী। হিন্দি ফিল্মের পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্মে অভিনয় শুরু করেছিলেন। কিন্তু বাদ সাধল ভাগ্য। শারীরিক অসুস্থতার কারণে একসময় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ানো ছিল বারণ। ফলে কেরিয়ারের পিকে এসেও সরে যেতে হল তাঁকে।
View this post on Instagram
ততদিনে হিমালয় দাসানি (Himalaya Dasni)-র সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সুস্থ হলেও আর পাঁচটা মেয়ের মতোই জড়িয়ে পড়লেন সংসারে। জন্ম হল এক পুত্র অভিমন্যু (Abhimanyu Dasani) ও কন্যা অবন্তিকা (Avantika Dasani)-র। এরপর কয়েকটি সিরিয়াল ও ফিল্মে অভিনয় করলেও পাননি স্বীকৃতি। ফিরে আসেনি স্টারডম। পরবর্তীকালে অবন্তিকা ও অভিমন্যু দুজনেই মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয়ে এসেছেন।
View this post on Instagram
ভাগ্যশ্রীর চলার শুরু অত্যন্ত সফল হলেও পথ গিয়েছিল এঁকে-বেঁকে। অসুস্থতা ভাগ্যশ্রীর স্টারডম কেড়ে নিয়েছিল। নাহলে হয়ত আজ তিনিও হতেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের একজন।
View this post on Instagram