এক নয়, দুই নয়, প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় সঙ্গীতের ময়দান জমিয়ে ব্যাটিং করছেন শিল্পী অলকা ইয়াগনিক। তিনি সেরা মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে বহু বার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন। একটা সময় কুমার শানুর সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক হিট সিনেমার হিট গান উপহার দিয়েছেন।
এই অলকা ইয়াগনিকের এক মজাদার কাহিনী তুলে ধরা হচ্ছে আজ। আমরা এমন অনেকেই আছি যখন অতীতে ফিরে তাকাই কিছু কিছু ব্যাপারে ভীষণ আফসোস করি, ভাবতে বসি ইস এই কাজটা আমি করতে পারিনি বা কাজটা আমার কাছে এসেছিলো আমিই পিছিয়ে গেছি বা অন্য কিছু। সেইরকম আফসোস সঙ্গীত শিল্পী অলকা ইয়াগনিকেরও আছে।
তখন গায়িকা ভীষণ ব্যস্ত। প্রায় প্রতিদিন গানের রেকর্ডিং চলতো। বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যেত। বলিউডে একের পর এক হিট গান দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ১৯৯২ সালে মণি রত্নমের ‘রোজা’ মুক্তি পায়। এদিকে, ১৯৭২ সাল থেকে অর্থাৎ, মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে অলকা আকাশবাণী (অল ইন্ডিয়া রেডিও) কলকাতাতে গানের যাত্রা শুরু করেন। যাইহোক,মণি রত্নম অলকাকে ও কুমার শানুকে ডাকেন রোজা সিনেমায় গান গাওয়ার জন্য। সেসময় এ আর রহমান ছিলেন উঠতি মিউজিক কম্পোজার। ব্যস্ততার কারণ ও নতুন মিউজিক কম্পোজার দেখে অলকা ও কুমার শানু সেই প্রজেক্ট বাতিল করেন।
পরবর্তীতে বহু সিনেমায় এ আর রহমানের সঙ্গে অলকা কাজ করেছেন কিন্তু রোজা র সাফল্যের আফসোস আর মেটাতে পারেননি। রোজার প্রত্যেকটি গান ও মিউজিক আজও হিট। আজও প্রতিটি গান দুর্দান্ত সাফল্যমন্ডিত। কিন্তু, কপালে না থাকলে যা হয়। ঠিক একই দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল ‘তাল’ সিনেমা নিয়ে। সেইসময় অলকা না করে দিয়েছিলেন পরিচালক সুভাষ ঘাইকে। পরে রাতারাতি স্টুডিও পৌঁছান এবং তাল এর গান গেয়ে পুরস্কারও ছিনিয়ে নেন। কিন্তু, রোজা আর তার কপালে জোটেনি।