৫০ পেরিয়েও টগবগিয়ে ছুটবে যৌবনের ঘোড়া, সাধারণ নুন সরিয়ে আজই আনুন এই জিনিস
খাবারে স্বাদ আনে নুন (Salt)। লবণ ছাড়া যেকোনো খাবারই বিস্বাদ হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত নুন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। বিশেষ করে যারা উচ্চরক্তচাপ (High Pressure) এর সমস্যায় ভোগেন তাদের কাঁচা নুন বা প্রয়োজনের বেশি নুন খেতে কড়া নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। খাবারেও কম নুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের। তবে সাধারণ লবণের বদলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন শিলা লবণ খাওয়ার। শিলা লবণ (Rock Salt) বা সৈন্ধব লবণকে ‘সর্বোত্তম’ বলা হয়। কী কী উপকারিতা রয়েছে এই লবণের? এই প্রতিবেদনেই থাকছে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য। তাই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন।
স্বাদে কিছুটা মিষ্টি শিল লবণ বা সৈন্ধব লবণ। এতে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। সাধারণ লবণের সঙ্গে সৈন্ধব লবণের কী পার্থক্য রয়েছে? সাধারণ লবণকে সমুদ্র থেকে প্রক্রিয়াজাত করে আয়োডিন যোগ করা হয়। সাধারণ লবণ থেকে অনেক সময়ই রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু শিলা লবণে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক কম থাকে। এতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয় না, পাশাপাশি রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে। শিলা লবণ হার্টকেও ভালো রাখে।
শিলা লবণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এর মতো খনিজ। চোখের সমস্যা প্রতিকার করে শিলা লবণ। এই লবণে উপস্থিত উপাদান হজম শক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি শিলা লবণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা পেশিতে আরাম দেয়। গরম জলে সামান্য শিলা লবণ মিশিয়ে পেশির ফোলা জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
শিলা লবণ শুক্রাণুর গুণমান বাড়িয়ে শরীরে শুক্রাণু উৎপাদনও বাড়ায়। সাধারণ লবণের চেয়ে শিলা লবণে অনেক বেশি পরিমাণে গুণাবলী রয়েছে যা শরীরের পক্ষে উপকারী। প্রতিদিন অন্তত ১.৫ থেকে ২.৩ মিলিগ্রাম শিলা লবণ রাখা উচিত নিত্য দিনের খাবারে। সাধারণ লবণের পরিবর্তে শিলা লবণ ব্যবহারেরই পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।