Hair Loss: নখ ঘষলেই বন্ধ হয়ে যায় চুল পড়া! এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শুনলে হুঁশ উড়বে আপনার
পুরুষ হোক বা নারী, নিজের প্রতি যত্নশীল আজ সকলেই। রাস্তাঘাটে দশজনের একজন হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে আজ সবাই দৌড়াচ্ছে। আজকাল শুধু মহিলারা নয়, সৌন্দর্য রক্ষায় তৎপর পুরুষরাও। চুল থেকে ত্বক, সবকিছুর প্রতি যত্নশীল ছেলেরাও। কিন্তু এই যত্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শীতকাল। শীতকালে যেমন রুক্ষ্ম হয়ে যায় ত্বক, তেমনই আবার চুলেও দেখা দেয় নানা সমস্যা। খুশকির সমস্যায় যেমন ভোগেন অনেকে, তেমনই আবার চুল পড়ার সমস্যা অনেককেই বিব্রত করে।
আজকাল চুল পড়া যেন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষদের কাছে। আজকাল সব জায়গাতেই অনেক মানুষের মাথায় টাক দেখা যায়। এমনকি এটি এখন কোনো বয়স মানে না। আজকাল কম বয়সী পুরুষদের মধ্যেও চুল পড়ে টাক হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শীতকালে এই সমস্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অনেক টোটকা প্রয়োগ করেও এর থেকে মুক্তি মেলে না। তবে এই নিবন্ধে একটি এমন উপায় নিয়ে আলোচনা হবে, যার মাধ্যমে সহজেই চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আজকাল সমাজ মাধ্যমে একটি বিষয় ভীষণভাবে ভাইরাল হচ্ছে, যাতে দেখানো হচ্ছে যে নখের সঙ্গে নখ ঘষলে কেটে যায় চুল পড়ার সমস্যা। কিন্তু এই বিষয়টি আদৌ উপকারী হয় নাকি, তাই নিয়ে অনিকেত মনে রয়েছে দ্বন্দ্ব। তবে জেনে রাখা ভালো যে এই বিশেষ মুদ্রার অভ্যাস করলে কিন্তু মুক্তি পাওয়া যায় এই নিত্যদিনের সমস্যা থেকে। ভারতের প্রাচীন যোগব্যায়াম পদ্ধতিতে এটিকে বলা হয় বালায়ম মুদ্রা। এটিকে সঠিক উপায়ে প্রয়োগ করলেই উপকার মেলে। এমনকি বিজ্ঞানের ভাষাতেই এই মুদ্রার যৌক্তিকতা রয়েছে।
এর জন্য, প্রথমেই দুই হাতের আঙুলকে মুড়ে নিয়ে দুই হাতের আঙুলের নখের মধ্যে ঘর্ষণ করতে হবে। তবে কোনোভাবেই বুড়ো আঙুলের নখ স্পর্শ করানো যাবেনা। এইভাবে প্রতিদিন দিনে বা রাতে ১৫ মিনিট করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় এই মুদ্রা নিয়মিত করলে স্নায়ু উজ্জীবিত হয়। এছাড়াও এর মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন ঘটে সঠিকভাবে। তাই এই মুদ্রাকে উপকারী বলে মান্যতা দেওয়া হয় চিকিৎসা শাস্ত্রেও।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।