Vagetable Price Drop: পরের মাস থেকেই হু হু করে কমবে সবজির দাম, জানালেন RBI গভর্নর
গত ১৫ মাসের মধ্যে জুলাইতে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার সবচেয়ে বেশি ছিল
দৈনন্দিন মূল্যবৃদ্ধি এবং সেইসাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম কপালে ভাঁজ ফেলেছে গোটা দেশবাসীর। যেকোনো বাজারে সবজি কিনতে গেলে দাম শুনে আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ। তবে শেষ পর্যন্ত কি ভারতীয়রা নিজেদের প্রয়োজনের সবজিও কিনতে পারবেন না? এই প্রশ্নই ঘুরছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে এর মাঝেই অভয়বার্তা দিয়ে আরবিআই প্রধান শক্তিকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন যে সেপ্টেম্বর মাস থেকে কমতে পারে সবজির দাম। ঠিক কি বলেছেন তিনি? তা জানতে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিগত দাস সদ্য একটি প্রেস মিটিংয়ে জানিয়েছেন যে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশে সবজির দাম কমতে পারে। আসলে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতিকে সামান্য স্বস্তির দিকে আনলে এই সবজির দাম কমে যাবে। গত ১৫ মাসের মধ্যে জুলাইতে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার সবচেয়ে বেশি ছিল। এই মাসে এর পরিমাণ ছিল ৭.৪৪%। তিনি আরো বলেছেন যে আপাতভাবে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে খাবারের দামের উপর প্রভাব ফেলবে বিভিন্ন ভৌগোলিক রাজনৈতিক কিছু টানাপোড়েন।
আরবিআই এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফেও আভাস দেওয়া হয়েছে যে আগামী মাস থেকে সম্ভবত সবজির দাম ধীরে ধীরে কমে যাবে। অর্থ মন্ত্রক এও বলেছে যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট হয়েছে সরকার। তবে খরিফ ফসলের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে এই কম বৃষ্টিপাত ফসলের দামে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সবজির দাম কম এর আশা করলেও অপরিশোধিত তেলের দাম যেন হু হু করে বেড়ে চলেছে। রীতিমত মধ্যবিত্তদের চিন্তায় ভাঁজ দেখা যাচ্ছে কপালে। আর এই তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে প্রত্যেকটি দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। বর্তমানে ৯০ মার্কিন ডলার প্রতি ব্যারেল হিসাবে তেলের দাম নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।