বরুণ কি শাদি। এই নিয়ে গোটা বলিউডে ছিল বেশ হইচই। অবশেষে সব জল্পনা শেষ করে বরুণ ২৪ শে জানুয়ারী নিজের দুলানিয়ার সাথে বিয়েটা সেরে নিলেন। এই দুলানিয়া বলিউডের কোনো নায়িকা নয়, স্কুল লাইফের প্রথম প্রেম। যেই মানুষটি অভিনেতার জীববে সব চড়াই উৎরাইয়ের পাশে ছিলেন। তিনি হলেন নাতাশা দালাল। যাকে বলে ট্রু লাভ। কিছু কিছু ট্রু লাভ এরকম হয় বুঝি। অবশ্য এদের ট্রু লাভ শুরু হওয়ার আগে চকোলেট বয় বরুণ ধাওয়ানকে বহু বার নাতাশার কাছে প্রত্যাখ্যান হতে হয়েছিল। কিন্তু কেন এই প্রত্যাখান হতে হয়েছিল বরুণকে। অবশ্য বরুণ ও হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না। পালট পালট করতে নাতাশার মন ঠিক পেয়েছিলেন।
বরুণ আর নাতাশার প্রেম কাহিনীটি ছিল বেশ মজার। অবশ্য এই প্রেমকাহিনী নিজেই রোমন্থন করেছেন বরুণ। সম্প্রতি করিনা কাপুর খানের একটি রেডিয়ো চ্যাট শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন বরুণ আর সেখানেই নিজের প্রেম পর্ব সকল ফ্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন। বরুণ নাতাশা একই স্কুলে পড়লেও টিম হাউস ছিল আলাদা। একজনের রেড হাউস তো একজনের ছিল ইয়ালো হাউস। এক স্কুলে পড়লেও প্রথম আলাপ ক্লাস ৬ এ তাও আবার বাস্কেট বলের কোর্টে। আএ সেই সময় নাতাশাকে দেখে প্রথম ভালো লাগা জন্মায়। আর এই ভালো লাগা একদিন ভালোবাসায় পরিণত হয়।
ধীরে ধীরে বরুণ ও নাতাশার মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। এরপর দেখতে দুজনে ক্লাস ইলেভেনে পৌঁছালে সেইসময় প্রথমবার নাতাশাকে প্রোপোজ করেন বরুণ। কিন্তু সেই বার প্রথম তিনি প্রত্যাখ্যাত হন। মন ভাঙলেও হাল কোনোদিন ছাড়েননি। বরাবর নাতাশাকে একাধিকবার প্রপোজ করেছেন অভিনেতা। একটা সময় তিনি ও বুঝেছিলেন তাঁর প্রতি নাতাশারও কোথাও না কোথাও দুর্বলতা আছে। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না। কিছু বছর পর অবশেষে নাতাশা চুপ না নাতাশাও নিজের মনের কথা প্রকাশ করেই ফেলেন। বরুণের প্রেমে পড়েই গেলেন। এরপর দুজনের একসাথে পথচলা শুরু।
বরুণ ও নাতাশা একটা সময় ঠিক করেছিলেন দুজনে লিভ ইন করবেন। কিন্তু বাবা ডেভিড ধাওয়ান ও মা করুণা। তবে নাতাশাকে খুবই ভালবাসেন তাঁরা। অবশ্য দাদা রোহিতের মতো অভিনেতার ও ইচ্ছে হত বিয়ে করে সংসার করার। বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিয়ে না হলেও বরুণের জীবনে নাতাশা স্ত্রীর মর্যাদাই পান।নাতাশার পেশাগত দিক দিয়ে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। আর তাঁর এই আলাদা সত্ত্বাকেও গুরুত্ব দেন বরুণ সবসময়। এছাড়া অভিনেতা জীবনেও নাতাশার মতামতের বিশেষ গুরুত্ব আছে। প্রথমে এই লাভ বার্ডসের ২০২০ সালে বেশ জাঁকজমক করে বিয়ে করার কথা থাকলেও করোনার জন্য না হলেও আর অপেক্ষা না করে নতুন বছরে শুভ দিন দেখে পরিবারকে সাক্ষী রেখে নাতাশার সাথে সাতপাকে ঘুরেই নিলেন। আর নিজেদের স্বপ্নের মতো বিয়েটা সারলেন এই লাভ বার্ডস।