Finance NewsHoop NewsHoop Trending

Vegetable Price Hike: বন্যার জলে ধুয়ে-মুছে সাফ সবজির ক্ষেত, দুর্গাপুজোয় অগ্নিমূল্য হবে বাজার!

গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের প্রভাবে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। সিকিম সহ গোটা উত্তরবঙ্গে বন্যার ভয়াল ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছে প্রকৃতি। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বন্যায় ডুবেছে উত্তর সিকিম। এদিকে দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও তৈরি হয়েছে বানভাসি পরিস্থিতি। সেখানে গতকাল ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে এই বন্যার প্রকোপ থেকে রেহাই পায়নি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি নদীবাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণেই এবার বন্যায় ভেসেছে একাধিক জেলা।

ডিভিসির দুই ড্যাম পাঞ্চেত ও মাইথিন তর্কে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে গত কয়েকদিনে। আর এই কারণেই হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলায় দেখা গেছে প্লাবনের ছবি। এছাড়াও দুই মেদিনীপুরের চিত্রটাও বানভাসি। ইতিমধ্যে দামোদর নদী সহ ক্যানেল খালের মধ্যে পাহাড়প্রমান জলের স্রোত দেখা গেছে। আর এর প্রভাব সভার আগে দেখা গেল চাষের জমিতে। ইতিমধ্যে, আরামবাগের খানাকুল ও পুরশুড়ার অন্তত ১০০ হেক্টর, তারকেশ্বরে ৯০ হেক্টর এবং জাঙ্গিপাড়ায় মোটামুটি ১০৫ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়েছে। পাসপাসজ বলাগড়, পোলবা, সিঙ্গুর, হরিপালের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ১০০ হেক্টর জমিতে ব্যাহত হয়েছে সবজি চাষ।

আর সেই কারণেই এবার সবজির দাম আগুন লাগতে চলেছে বলেই মনে করছেন চাষী ও সবজি ব্যবসায়ীরা। আর এই মূল্যবৃদ্ধি দুর্গাপুজোর পরেও থাকতে পারে বলে অনুমান। কারণ এই সময়েই চাষ শুরু হয় শীতকালের সব ফসলের। এই সময় সবজি ক্ষেতে বোনা হয় পটল, টমেটো, ঢ্যাঁড়স, কুমড়ো, বরবটি, করলা, ধনেপাতা এবং ফুলকপির মতো সবজি। তবে বৃষ্টির কারণে এইসব সবজি জমি থেকে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। যেসব জমিতে ইতিমধ্যে এইসব সবজি লাগানো হয়েছে, তাতেও বানের জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে সবকিছুই।

সবজির মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করে এই বিষয়ে হুগলি নিয়ন্ত্রিত বাজারের সম্পাদক এসএফ রহমান বলেন, “যে ভাবে হুগলি জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, তাতে সব্জি চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। চাষিরা মাঠে কাজই করতে পারছেন না। বাজারে ফসলের আমদানি কম হচ্ছে। আগামী দিনে সব্জির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।” এছাড়াও এই বিষয়ে এক কৃষক জানান, “এই বৃষ্টির ফলে সমস্ত সব্জি পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এক বিঘা জমিতে চাষের খরচও উঠল না। উপরন্তু আবার চাষ করতে হবে। কিন্তু যে পরিমাণ ক্ষতি হল সেই তুলনায় ক্ষতিপূরণ কী ভাবে পাব জানি না।”

Related Articles