নতুন বছর পড়তেই ১১ জানুয়ারি মা বাবা হয়েছেন অনুষ্কা শর্মা ও বিরাট কোহলি। শর্মা ও কোহলি পরিবারের পাশাপাশি সারা ভারতবর্ষ বেশ খুশি এই হেভিওয়েট কাপেলের কন্যা সন্তানের খবর পেয়ে। কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে নিজেই শেয়ার করেছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু মেয়ের জন্মের পর তাঁর ছবি প্রকাশ্যে বাবা মা কেউই আনেননি। কারণ বাবা মা কেউই চাননা তাঁদের সন্তান আর অন্য স্টার কিডদের মতো বড় হোক। তাই তাঁদের কন্যা ক্যামেরার থেকে প্রথম থেকেই দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরুষ্কা। তবে মেয়ের নাম রেখেছেন ভামিকা। নিজেদের নামের সাথে মিল রেখেই মেয়ের নামকরণ করেছেন।
বিরাট-অনুষ্কা দুজনেই নিজেদের কেরিয়ারে সফল। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী ক্যপ্টেন বিরাট কোহলির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৮৮ কোটি টাকা৷ আর যদি তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা নিজের অভিনয় দক্ষতায় সম্পত্তির পরিমাণ ২৬৪ কোটি টাকা। অনুষ্কার টাকার পরিমাণ স্বামীর চেয়ে তুললামূলক ভাবে কম হলেও পরিমাণ এমন কিছু কম নেই। এত ঐশ্বর্য আর যশ থাকা সত্ত্বেও এই সেলেবের বাড়িতে কাজ কর্মের জন্য কোনো লোক রাখেন না এরা। কিন্তু কেন? হ্যাঁ সত্যি এদের বাড়িতে কাজ করার কোনো লোক নেই। অবশ্য এই কথা জানালেন বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া ওরফে BCCI-এর এক কর্মকর্তা শরণদীপ সিং নিজে।
এই প্রসঙ্গে শরণদীপ এক উদাহরণ দিয়েছেন বিরুষ্কার বাড়ির এক হাউস পার্টির কথা। তিনি জানিয়েছেন, যে সেই সন্ধ্যায় ওই পার্টিতে অনেক অতিথি এসেছিল কিন্তু তিনি বাড়িতে কোনও কাজের লোক দেখেননি। বরং সারা সন্ধ্যে জুড়ে বিরাট এবং অনুষ্কা নিজেরা সকল অতিথিদের দেখভাল করেছেন। নিজের হাতে সকলকে খাবার পরিবেশন করে খাইয়েছেন নিজের হাতে। শরণদীপ বলেন নিজের চোখে আজ পর্যন্ত কোনও সেলিব্রিটির এমন কোনোদিন দৃশ্য দেখেনি। সকলের বাড়িতে কাজ করার লোক থাকে হাতে হাত কাজ করার জন্য। এই জুটি অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম।
কেন এই প্রশ্নটা সকলের মাথায় ঘুরছে। খোলসা করে বলা যাক। শরণদীপ এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি করব জানিয়েছেন, বিরাট অন্যান ক্রিকেটারদের মতো একেবারেই নন। তিনি ২২ গজেই নিজের আগ্রাসী মনোভাব ধরে রাখার চেষ্টা করন। মাঠে খেলা শেষ তখবন ক্যাপ্টেন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। এককথায় বলতে গেলে মাটির মানুষ। শরণদীপ সিং আরো বলেছেন, তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন বিরাটকে তাই তিনি বিরাটের ব্যপারে অনেক কিছু জানেন। এমনকি সতীর্থদের সঙ্গে টিমের কোনও আলোচনা পর্ব হোক বা খেলার মাঠের অনুশীলন, সব সময়ে বিরাট কুল মাইন্ডেড থাকেন। যদি তিনি কোনো ম্যাচে হেরে যান তখন তাঁর খেলা নিয়ে কোনও সমালোচনা করলেও না কি সেটা খুব শান্ত ভাবে শোনেন তার বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো মন্তব্য করেননা, প্রতিবাদ ও করেননা।
কিন্তু অনেকে প্রশ্ন করেছেন সেই দিন পার্টিতে লোক না থাকলেও ভামিকাকে দেখার জন্য তো কেউ থাকবে তো। কারণ এর পর বিরাট খেলতে বাইরে আর অনুষ্কা যখন নিজের কাজ নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত হয়ে পড়বে তখন এই বাচ্চার দেখভাল করবে। এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। অনেকেই বিরুষ্কার পদক্ষেপে প্রশংসা করলেও অনেকের প্রশ্ন ভামিকার কি হবে এর পর থেকে। এর উত্তর সময়ই দেবে।