Hoop Story

Vacation: কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বেই একসঙ্গে পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গল, কম খরচেই ঘুরে আসুন মিনি গোয়া

গরম হোক বা শীত কিংবা বর্ষা, ঘুরতে যাওয়ার (Vacation) জন্য বাঙালি সবসময়ই এক পায়ে খাড়া। কিন্তু গন্তব্য কোথায় হবে তা নিয়ে বিবাদ ঘটা অবশ্যম্ভাবী। একদল ভোট দেন পাহাড়ের জন্য, আরেকদল চায় সমুদ্রে যেতে। আবার কারোর পছন্দ জঙ্গল। কিন্তু এমন যদি কোনো জায়গা থাকে যেখানে এই তিনটিই মিলবে একসঙ্গে, তাহলে কেমন হয়? না, কল্পনা নয়, এ জায়গা রয়েছে বাস্তবেই।

কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূরত্বেই রয়েছে এমন এক স্থান যেখানে একসঙ্গে মিলিত হয়েছে পাহাড় এবং সমুদ্র। রয়েছে জঙ্গলে রহস্যময়তার হাতছানি, পাহাড়ি ঝরনার আওয়াজ। জায়গাটির নাম বালেশ্বর বা বালাসোর (Balasore)। চলতি বছরেই এই স্থানে ঘটে গিয়েছিল এক মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা। সেই সূত্রে বালাসোরের নাম ছড়িয়ে পড়ে সবার মুখে মুখে। সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি আজো অনেকের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। তবে বালাসোরকে যে প্রকৃতি এমন সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলেছে তা অনেকেই জানেন না। এখনও সেভাবে পর্যটকদের পা পড়েনি বালাসোরে।

বালেশ্বর বা বালাসোরে একসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য। বিশ্বেশ্বর পাহাড় এখানকার দর্শনীয় স্পট। তবে এই পাহাড়ের উপরটা সমতল। বালেশ্বর থেকে কয়েক কিলোমিটার গেলেই রয়েছে কুল্ডিহা জঙ্গল। এই জঙ্গলে যাওয়ার রাস্তা গিয়েছে ওড়িশার গ্রামের মধ্যে দিয়ে। এই জঙ্গলে রয়েছে সাফারির ব্যবস্থা। হরিণ, ময়ূর, নানান পাখির পাশাপাশি এখানে বাঘেরও দেখা পাওয়া যায়। জঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে এক সুন্দর ঝরনা।

চাইলে ঘুরে নেওয়া যায় খুমখুম জলাধার। এখান থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য একবার দেখলে ভোলা কঠিন হবে। খুমখুম জলাধারের পাশেই রয়েছে বালেশ্বরের জগন্নাথ মন্দির। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে বালেশ্বরের এই মন্দির। কলকাতা থেকে বালাসোর যেতে হলে হাওড়া থেকে ট্রেনে যেতে পারেন। সময় লাগবে ৩ ঘন্টা। এছাড়া সড়কপথে বাসেও যাওয়া যায় বালাসোর। এক্ষেত্রে ৫ ঘন্টা সময় লাগবে। নয়তো গাড়ি করেও যেতে পারেন বালাসোর। এখানে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন মানের হোটেলের বন্দোবস্তও রয়েছে।

Related Articles