বি-টাউনের ইতিহাসে কেরিয়ার শুরুর মুহূর্তেই শেষ হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সবার ক্ষেত্রে কারণটা এক হয়না। এই তালিকায় একজন জলেন বিবেক ওবেরয় (Vivek Oberoi)। তবে তার অভিনয় কেরিয়ার থমকে যাওয়ার কারণটা প্রেমঘটিত বলেই দাবি করেন অনেকেই। কারো মতে আলোচিত হওয়ার থেকে বেশি সমালোচিত হয়েছেন বিবেক ওবেরয়। কখনো প্রেম, আবার কখনো সেই প্রেম নিয়ে বিবাদ। ২০০৯-২০১৭ তারপর আর বলিউডে তেমন দেখা যায়নি তাকে। আর এতদিন পর এর কারণটা খোলসা করলেন অভিনেতা বিবেক ওবেরয়।
সালটা তখন ২০০৩। ‘কিউন হো গায়া না…’ ছবির শ্যুটিংয়ের সেট থেকে প্রেম জীবন শুরু হয় বিবেক ওবেরয়ের। সেই সময় বিবেক দাবি করেন, তার প্রেমিকা হলেন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai)। তারপরেই হয় জলঘোলা। জানা গিয়েছিল, এই ঘোষণার পর নাকি সলমন খান (Salman Khan) তাকে হুমকি দেন এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে না যাওয়ার জন্য। ২০০৫ সালেই সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ান বিবেক এবং ঐশ্বর্য। আর এই ঘটনা থেকেই নাকি অভিনয়ের কেরিয়ারে কালো মেঘ নেমে এসেছে তার, এমনটাই দাবি করলেন বিবেক ওবেরয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘এই সম্পর্ক প্রকাশ্যে না এলে সবটাই অন্যরকম হত। তবে এটা এখন অতীত এবং ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে।’
এই সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বিবেক ওবেরয় চলতি প্রজন্মকে একটি বার্তা দিতে গিয়ে বলেন, ‘একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, আপনি যদি সত্যিই আপনার কাজের প্রতি মনোযোগী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, এবং আপনি যদি এটিকে নিজের একশোভাগ দিয়ে থাকেন, আমি এটা অনেক জায়গাতেই ঘটতে দেখেছি, আমার একমাত্র উপদেশ হল যে খেয়াল রাখবেন আপনার পেশাদারিত্বের উপর তারা যাতে আক্রমণ করতে না পারে, যাতে আপনার প্রতিভার উপর আক্রমণ করতে না পারে, যদি তারা আপনার কাজের উপর আক্রমণ করতে না পারে তাহলে যেন আপনার জীবনের অন্য কোনও দিকেও আক্রমণের সুযোগ না পায়। কারণ এটা কাজের প্রতি আপনার ফোকাসকে নষ্ট করবে’।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ঐশ্বর্যর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর ২০১০ সালে বিবেক ওবেরয় বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা আলভাকে। যিনি কর্নাটকের মন্ত্রী জীবরাজ আলভার কন্যা। এখন দুই সন্তান নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। বর্তমানে দক্ষিণী ছবিতেই বেশি দেখা যায় অভিনেতাকে।
