Hoop Life

Skin Care Tips: নামিদামি ফেসওয়াশ নয়, ঘরোয়া উপাদান দিয়েই বাড়বে ত্বকের জেল্লা

ত্বক পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন সঠিক উপায় নেওয়া নিয়ম মেনে তো পরিষ্কার করলে ত্বক একেবারে কুৎসিত হয়ে যাবে। তবে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আমরা অনেক সময় বাজার চলতি নানান রকম ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি। এগুলো সত্যিই আমাদের ত্বকের জন্য ভালো কিনা তা বিচার করি না। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখেই ছুটে চলে যাই দোকানে সেই দারুন দারুন ফেসওয়াশ কিনে আনতে। এতে পকেট যেমন ফাঁকা হয়, ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকেরও কিন্তু বারোটা বেজে যায়, আদপে কোন লাভ হয় না। দুদিক থেকেই ক্ষতি হয় কিন্তু কেমন হয় বাড়িতে থাকা যদি কয়েকটা জিনিস দিয়ে আপনি আপনার ত্বকে সুন্দর এবং পরিষ্কার করতে পারেন, বিষয়টা একেবারেই মন্দ হয় না। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন মাত্র তিনটি উপকরণ দিয়েই আপনি আপনার ত্বক পরিষ্কার করতে পারবেন।

১) বাসি রুটি – দুধের মধ্যে বাসি রুটি দিয়ে খুব ভালো করে চটকে মেখে নিন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন স্নানের আগে খুব ভালো করে সারা গায়ে, মুখে, পিঠে, গলায়, ঘাড়ে, কাঁধে খুব ভালো করে মেখে ম্যাসাজ করুন। অন্তত দশ মিনিটের মতো তারপর আধঘন্টা রেখে ঠান্ডা জলে ভালো করে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন, বিশ্বাস করুন এর থেকে ভালো পরিষ্কার করার উপাদান আপনি কোথাও কিনতে পাবেন না।

২) ভাত – ভাত ভালো করে মিক্সিতে পেষ্ট করে নিন। তারপরে এর মধ্যে দিয়ে দিন এক টেবিল চামচ জল ঝরানো টক দই খুব ভালো করে পুরো মিশ্রণটি মিশিয়ে স্নান করার আগে গায়ে, মুখে, পিঠে ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন। বাসি রুটির মতন ভাত দিয়েও আপনি অসাধারণ উপায়ে আপনার ত্বকে পরিষ্কার করে ফেলতে পারবেন। আর এর জন্য আপনাকে একটা টাকাও খরচ করতে হবে না।

৩) বেসন – বহু প্রাচীনকাল থেকে বেসন মুখ পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন স্নান করার আগে বেসনের সঙ্গে খুব সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল এবং কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে মুখে, পিঠে, গলায়, হাতে, পায়ে লাগিয়ে খানিকক্ষণ এর জন্য রেখে দিন। তারপরে ঠান্ডা জল দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন, দেখবেন আপনার কত পরিষ্কার হয়ে গেছে।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles