Rainfall: নাজেহাল গরমে আজও বৃষ্টির ভ্রুকুটি, কিছুক্ষণের মধ্যেই আবহাওয়ায় ঘটবে ব্যাপক পরিবর্তন
‘বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি, এ কোন অপরূপ সৃষ্টি/এতো মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি, আমার হারিয়ে গেছে দৃষ্টি।।’ ভাবছেন সকাল সন্ধ্যা এই গানটা গাইবেন। গাইতেই পারেন, কারণ কালবৈশাখীর দেখা মিলেছে, আকাশ মেঘলা, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি টুপটাপ করে পড়ছে, পাশাপাশি চারিদিকের গরম হওয়া এখন মিঠে ঠান্ডা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে বৃষ্টি চলবে। অন্তত গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে শহরবাসীর। তৃষ্ণার্ত তিলোত্তমার বুকে জল এসে ঠেকেছে। স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হলেও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা উপভোগ করতে পারবে ঠান্ডা আবহাওয়া।
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হওয়া। নদীয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমানে হবে মাঝারি বৃষ্টিপাত। এছাড়া, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরে সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সারাদিন আকাশ থাকবে মেঘলা, চলবে ঝড়ো হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিপাত।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও চলছে বৃষ্টির দাপাদাপি।এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে এবং আগামী দিনেও একই পর্যায়ে বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভবনা থাকবে। প্রসঙ্গত, মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্নিঝড় অর্থাৎ নতুন সাইক্লোনের সম্ভবনা রয়েছে, India Meteorological Department থেকে জানা যায় এমন খবর। IMD ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ”মে মাসে সাধারণত যখন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়, তখন তা ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও পূর্বাভাস নেই।” তিনি আরও বলেছেন, ”সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা গোটা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।”