whatsapp channel
Hoop NewsHoop Trending

তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ, ধেয়ে আসছে বড় বিপর্যয়, এপ্রিলের শুরুতেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

বাংলাতে বসন্তেই যেন গ্রীষ্মের আবহাওয়া বয়ে চলেছে গোটা ফাল্গুন মাস ধরে। ক্যলেন্ডার বলছে এখন বাংলার বসন্ত কাল তবে বাইরে সকালে সূর্যের তেজ দেখে মনে হচ্ছে এখনই মে-জুন মাস। গ্রীষ্মকাল আসার আগেই রোদের তেজে নাজেহাল হয়ে পড়ছে বঙ্গবাসী। দক্ষিণবঙ্গে এতদিন ধরে তীব্র রোদের তেজ দেখা দিয়েছে। ভোরের দিকে আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকলেও বেলা বাড়তেই তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।ফাল্গুনে যেমন আগুন পেয়েছে বঙ্গবাসী তেমনি চৈত্রের শুরুতেই আরো বেশি গরমের ছোঁয়া। ফাল্গুন মাসেই বৈশাখের ছোঁয়া তেমনি চৈত্রতে সেই ছবি তুলে ধরেছে প্রকৃতি।

একধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ ৩৫-৩৬ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে শেষের দিকে এসে তাপমাত্রার পারদ আবারো বেশ নামতে শুরু করেছে। এখন তাপমাত্রার পারদ কিছুটা উর্দ্ধমুখী থাকলেও, ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর থেকে। যার ফলে রোদের তেজ উঠলেও, তা কিছুটা মনোরম হবে। শুক্রবার কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে কিছুটা অস্পষ্ট রোদ এবং রাতের দিকে আবছা আকাশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

এপ্রিলের শুরুতে নাকি আবারো দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এই এপ্রিলেই আবারও আমফানের স্মৃতি ফিরতে পারার সম্ভাবনা আছে। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ৩ ৪ঠা এপ্রিলেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে৷ এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের নাম ‘টাউকটে’। তবে ঠিক কোন অংশে এর প্রভাব পড়বে সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি এখনই। তবে ঝড়ের গতিবেগ সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণা দিয়েছেন। প্রথমে ঘণ্টায় ৬৫ – ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সূত্রপাত হলেও পরে গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫ কিলোমিটার হয়ে শেষের দিকে শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজ্যে এই মুহূর্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর ও পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে৷ অন্যদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী দু’দিন ধরে সমভূমিতেও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

whatsapp logo