Tourism: দীঘা-পুরী আর নয়, দার্জিলিংয়ের এই সুন্দর গ্রামে এলেই মন ভালো হতে বাধ্য
একটু ঠান্ডা পড়েছে কি পড়েনি, অমনি বাঙালি ব্যাগ গুছিয়ে রেডি হয়ে গেছে বেড়াতে যাওয়ার জন্য। ওই খানিকটা উঠলো বাই তো কটক যাই, এর মত কিন্তু আজকে আমাদের গন্তব্য দার্জিলিংয়ের সোনাদা নামে একটি অফবিট ডেস্টিনেশনে। জায়গাটি দার্জিলিং আর কার্শিয়ানের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত। বাঙালি হয়ে দার্জিলিং বেড়াতে যাননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল কিন্তু সোনাদা ভ্রমণ করেননি, এমন কিন্তু অনেকেই আছে আসলে নামটাইতো অনেকে শোনেননি।
আজকে আমাদের উইকেন্ড ডেস্টিনেশন মানে দু-তিন দিনের ছুটিতে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন অফ বিট জায়গা সোনাদা থেকে। তাই আর দেরি না করে চটপট খাতা পেন নিয়ে বসে যান কিভাবে কি প্ল্যান করবেন, কোথায় থাকবেন, কেমন করে কাটাবেন এই দুটো তিনটে দিন সোনাদায়। কাঞ্চনজঙ্খার পাশাপাশি পাইনের জঙ্গল, চা বাগান এগুলো থাকবে একেবারেই উপরি পাওনা। তার উপরে ঠান্ডায় যে পাহাড়ি অঞ্চলের রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু এক্কেবারে মন্দ লাগবে না, তাই আর দুবার না ভেবে আপনার পরবর্তী ডেস্টিনেশন হোক সোনাদা।
সোনাদা দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এবং কারশিয়াং থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই দুই জায়গায় বেড়াতে গেলে সোনাদা ভ্রমণ আপনি করতেই পারেন। এবার কথা বলি সোনাদায় বেড়াতে গিয়ে কি কি দেখবেন?
সোনাদায় বেড়াতে গিয়ে প্রথম যা দেখবেন তা হল পাহাড়ের কোলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন। এর থেকেও আপনি যেটা দেখতে পাবেন তা হল সোনাদাকে ঘিরে রয়েছে প্রচুর চা বাগান। কংক্রিটের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এমন ফাঁকা জায়গায় চা বাগান দেখার মজাটাই যেন এক অন্যরকম।
এছাড়াও এক্সট্রা পাওনা পাইন গাছের জঙ্গল। পাইন গাছের অত উঁচু উঁচু গাছের মাঝখানে নিজেকে একেবারে লিলি পুট মনে হবে, মনে হবে পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড আপনার মাথার উপর এসে দাঁড়িয়ে আছে। তাই এই অসাধারণ দৃশ্যটি যদি উপভোগ করতে চান, তাহলে চটজলদি যেতে হবে সোনাদায়। এছাড়াও এখানে গেলে দেখে আসতে পারেন সোনাদা মঠ যেখানে একজন তিব্বতী সন্ন্যাসীর মমি রাখা রয়েছে। এখানকার আরো একটি অসাধারণ দৃশ্য হলো রেনবো জলপ্রপাত।
সোনাদার নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি বা যদি আকাশপথে ভবন করতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। তাই দার্জিলিং পৌঁছে অথবা পৌঁছে একটি গাড়ি ভাড়া করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন।