Tourism: দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম থেকে
শীতকাল মানেই মনটা যেন কেমন পালাই পালাই করে, একটু ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই মনে হয় ব্যাগ গুছিয়ে দু-একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসা যায়, পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় কিন্তু দু-একদিনের ছুটিতে যদি কাছে পিঠে কোথাও ঘুরে আসতে চাই তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে এই জায়গাটি। আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন ঝাড়খণ্ডের একটি অসাধারণ জায়গা আর আসানবনি। দলমা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত স্থানটি শান্ত ও নির্মল।
আসানবানির প্রধান আকর্ষণ হল দলমা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং সঞ্জয় গান্ধী দ্বারা উদ্বোধন করা, দলমা বন স্থানীয় ভারতীয় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জন্য একটি স্বর্গ। হাতি এবং হরিণের বিশাল জনসংখ্যার জন্য পরিচিত, অভয়ারণ্যটি আসানবনি ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণ। সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে অবস্থিত, বনটি চিতাবাঘ, ভাল্লুক এবং সজারুদের আছে।
পুরো জঙ্গল জুড়ে, পুকুরের কাছাকাছি ছোট জায়গা তৈরি করা হয়েছে, যা পর্যটকদের জলাশয়ে পানীয় জলের জন্য পৌঁছানোর সাথে সাথে বন্য প্রাণীদের ঘনিষ্ঠ আভাস পেতে সক্ষম করে। দলমা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দলমা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের প্রবেশপথ আসানবনি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। অভয়ারণ্যে আসা পর্যটকরা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত শিব মন্দিরটি দেখে আসতে পারেন।
ব্যস্ত জীবনের থেকে যদি বাঁচতে চান তাহলে এখানে আরো একটি অসাধারণ বেড়াতে যাওয়ার জায়গা হল ডিমনা লেক। আসানবনি থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দলমা পাহাড়ের পটভূমিতে স্বচ্ছ জলের এই অসাধারণ লয়ে কিন্তু দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। স্টিল যারা নির্মিত অসাধারণ এই বাঁধটি খারকাই নদীর উপরে তৈরি হয়েছে এছাড়াও কাছাকাছি কারখানার পাশাপাশি জামশেদপুর শহরের বাসিন্দাদের জলের জলাধার তৈরি করা হয়েছে।
আসানবানি থেকে ২৬ কিমি দূরে সুবর্ণরেখা নদীর উপর অবস্থিত চান্দিল বাঁধ। চারিদিকে রয়েছে সবুজ পাহাড় আর জলের মধ্যে আপনি ইচ্ছা করলে কিন্তু বোটিং করে সুন্দর সময় কাটাতে পারেন এর কাছেই রয়েছে জাদুঘর ২০০ বছরের পুরনো লিপি, এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন এই অঞ্চল দিয়েই বয়ে গেছে সুবর্ণরেখা।
কিছু শোনার পরে মনে হচ্ছে তো কিভাবে পৌঁছবেন এই অসাধারণ জায়গায়, এই জায়গায় যেতে গেলে আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। হাওড়া থেকে টাটানগর পর্যন্ত ট্রেন রয়েছে টাটানগর হাওড়া মুম্বাই মেল লাইনে অবস্থিত। টাটানগর পৌছানোর জন্য হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেনও পাওয়া যায়। টাটানগর থেকে আসানবনি ১৭ কিমি দূরে। ভাড়া করা গাড়িতে করে সেখানে পৌঁছানো যায়।