নবান্ন স্কলারশিপে আবেদন করলেই ব্যাঙ্কে ঢুকবে মোটা টাকা, স্টুডেন্টরা আবেদন করতে পারেন সহজ উপায়ে
ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধা না আসে সেটা দেখা সরকারের অন্যতম কর্তব্য। আর তাই সরকারের তরফে সমস্ত পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে নানান প্রকল্প, যেগুলির মাধ্যমে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নানা ভাবে সাহায্য করা হয়ে থাকে। রাজ্য সরকারের এমনি একটি জনপ্রিয় স্কলারশিপ হল নবান্ন স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship)। সরকারি তহবিল থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক উত্তীর্ণ সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয় নবান্ন স্কলারশিপ। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেন, তারাই পান এই স্কলারশিপ। এককালীন ১০,০০০ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে এই এই স্কলারশিপে।
স্কলারশিপের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
এর জন্য আগে নবান্নতে গিয়ে জরুরি নথিপত্রের সঙ্গে আবেদনপত্র জমা করতে হত। তবে এখন অনলাইনেই তা করা যায়। নবান্নর ওয়েব পোর্টাল থেকে প্রথমে ফর্ম ডাউনলোড করে আবেদনপত্র পূরণ করে জরুরি নথিপত্র সহ সাবমিট করতে হয়। এক্ষেত্রে দুই রকমের কাগজপত্র হয়। ছাত্রছাত্রীদের কাছে থাকা অ্যাকাডেমিক এবং অফিশিয়াল কাগজপত্র যা সরকারি দফতর থেকে বানাতে হয়।
অ্যাকাডেমিক নথিপত্র
মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড, আধার কার্ড, শেষ পরীক্ষার মার্কশিট, ছাত্র ছাত্রীদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতার কপি আপলোড করতে হবে। এছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC নম্বর এবং অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নামও জমা দিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র
সরকারি দফতরে যেগুলি তৈরি করতে হয় যেমন ইনকাম সার্টিফিকেট বানিয়ে রাখতে হবে। যেকোনো গেজেটেড অফিসার, গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে বিডিও, জয়েন্ট বিডিও, পৌর এবং শহরের ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ অফিসার, ডেপুটি কমিশনারের কাছ থেকে আনতে হবে বার্ষিক ইনকাম সার্টিফিকেট। এছাড়াও বিধায়ক অফিসে গিয়ে বিধায়ক রেকমেন্ডেশন ফর্ম তৈরি করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রার্থনা পত্র
এই স্কলারশিপের জন্য আবেদনের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে নিজের স্বাক্ষর। উল্লেখ্য, ২০২৪ এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য এখনো পর্যন্ত এই স্কলারশিপে আবেদনের কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তবে ছাত্রছাত্রীরা আগে থেকে সমস্ত নথিপত্র তৈরি করে রাখতে পারেন।