বাড়িতে এই পাখির আনাগোনা ডেকে আনে অশুভ ইঙ্গিত! সময় থাকতেই সতর্ক হোন
পশুপাখি (Birds) অনেকেই ভালোবাসেন। আদর করে বাড়িতে পোষেন, তাদের যত্ন নেন। এমন পশুপাখিপ্রেমী মানুষের সংখ্যা কম নেই। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র (Vastu) বলে, কিছু কিছু পাখির আনাগোনা, বাড়িতে বাসা বাঁধা যেমন শুভ, তেমনি কিছু কিছু পাখির বাড়িতে বেশি আসা নাকি অশুভকে ডেকে আনতে পারে। কোন পাখি সম্পর্কে কী বলে বাস্তুশাস্ত্র চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পাখি এবং পাখির বাসা দেখতে সবসময়ই ভালো লাগে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে যারা থাকেন, তারা অভিযোগ করেন যে আগের তুলনায় পাখির সংখ্যা কমে গিয়েছে লক্ষণীয় ভাবে। তাই বাড়িতে পাখি আসা যাওয়া করলে বা বাসা বাঁধলে তা দেখতেও বেশ ভালো লাগে। বাস্তুশাস্ত্র বলে, বাড়িতে পাখির বাসা থাকা শুভ। বাড়িতে পাখি তার বাসা করলে তা নাকি সৌভাগ্য ডেকে আনে।
‘ভিটেয় ঘুঘু চড়ানো’, এই প্রবাদ বাক্য তো নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। কাউকে অভিশাপ দিয়ে, তার অমঙ্গল কামনা করাই এই প্রবাদ বাক্যের অর্থ। এ জন্য অনেকে বাড়িতে ঘুঘুর (Dove) বাসা থাকলেই তা ভেঙে দেন। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো পাখির কখনো ভাঙা উচিত নয়। এতে উলটে খারাপ টাই হয়। বিশেষ করে ঘুঘুকে খুব শুভ পাখি বলে দাবি করেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। ঘুঘু পাখি আনন্দ বয়ে আনে বাড়িতে। নিয়ে আসে সমৃদ্ধি। তাই প্রবাদ বাক্যে ভয় পেয়ে পাখির বাসা কখনোই ভাঙা উচিত নয়।
তবে বাস্তুশাস্ত্র বলে, বাড়িতে পায়রার বেশি আনাগোনা ভালো নয়। এতে জীবনে অশুভ প্রভাব বিস্তার হয়। কিন্তু পাখি প্রেমীরা এসবে বিশেষ মাথা ঘামান না। অনেকের বাড়িতেই দিব্যি বাসা বেঁধে থাকে পায়রা। বাড়িও থাকে আনন্দে ভরা। এমনকি অনেকে রীতিমতো পায়রা পোষেন। জানলে অবাক হবেন, পায়রাই হল পৃথিবীর সব থেকে পুরনো পোষ্য প্রাণী। বিশেষ যত্নের দরকার হয় না বলে অনেকেই পায়রা পোষেন। কয়েক বছর আগেও কলকাতায় পায়রা পোষার চল ছিল। আবার অনেকে এও মনে করেন, বাড়িতে পায়রা থাকা শুভ। তবে পায়রা পুষলেও বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সবথেকে জরুরি।