জি বাংলার জনপ্রিয় ডেইলি সোপ ‘মিঠাই’-এর টিআরপি ক্রমশ বাড়ছে। ‘মিঠাই’ ও ‘উচ্ছেবাবু’-র রসায়ন দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছে। এর মধ্যেই মিঠাই ও উচ্ছেবাবু ওরফে সিদ্ধার্থর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে চলছে কাহিনী। সিদ্ধার্থ মিঠাইকে কোনো সমস্যার মধ্যে দেখতে রাজি নয়। সুতরাং সে তার জন্য ঠিক করেছে একজন আইনজীবী।
সিদ্ধার্থ চায়, মিঠাই-এর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ যেন আনফেয়ার না হয়। ফলে সিদ্ধার্থ তার বন্ধু রুদ্রকে বলে মিঠাই-এর জন্য আইনজীবী খুঁজতে। কারণ সিদ্ধার্থর আইনজীবী রেবতী যথেষ্ট শক্তিশালী। রুদ্র সিদ্ধার্থর বাড়িতে এসে মিঠাই-এর সঙ্গে দেখা করে। মিঠাই রুদ্রকে বলে, তার গোপাল তাকে নিশ্চয়ই জনাইয়ে ফেরৎ নিয়ে যাবেন।
ফলে সিদ্ধার্থ বিবাহ বিচ্ছেদের পর মিঠাই কোথায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু মিঠাই বলে সে নিজের ব্যবস্থা নিজেই করে নেবে। মিঠাই কারও সাহায্য নিতে চায় না। সে বলে, সে নিজের জমানো টাকা দিয়ে একটা ছোট্ট দোকান খুলবে, মনোহরা নিয়ে এসে কলকাতায় বিক্রি করবে। কিন্তু মিঠাই-এর মনে জমে রয়েছে সিদ্ধার্থর প্রতি একরাশ অভিমান। তাই সিদ্ধার্থ তার কাছে পলকের মধ্যেই হয়ে যায় ‘অন্য কেউ’। ওদিকে সিদ্ধার্থরও যে বিবাহ বিচ্ছেদের ইচ্ছা নেই। তাই সে টালবাহানা করছে।
কিন্তু মোদক বাড়ির কর্তা দাদাই সিদ্ধার্থর জন্য এই বিবাহ বিচ্ছেদকেই সঠিক বলে মনে করেন। কারণ দাদাইয়ের সম্মান রাখতে গ্রামের মিষ্টি বিক্রেতা মিঠাইকে বিয়ে করেছি দাদাইয়ের ছোট নাতি সিদ্ধার্থ। কিন্তু এই বিয়ে সে মন থেকে মানতে পারেনি। ফলে সিদ্ধার্থকে এই বিয়ের হাত থেকে মুক্তি দিতেই সিদ্ধার্থ ও মিঠাই-এর বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দাদাই। অন্তত এটাই সবাই জানত। কিন্তু এবার প্রোমোতে দেখা গেল, দাদাই যা করছেন তা পুরোটাই অভিনয়। তিনি সত্যিই চান না মিঠাই ও সিদ্ধার্থর ডিভোর্স হোক। দাদাইয়ের সিদ্ধান্তে রুদ্র তাঁর সাথে রয়েছে। কিন্তু সিদ্ধার্থ এত কিছু জানে না।
তবে আগেও একবার সিদ্ধার্থ ও মিঠাই-এর বিবাহ বিচ্ছেদের কথা উঠেছিল। কিন্তু তখন মোদক পরিবারের মেয়ে শ্রীনিপার সঙ্গে মোদক পরিবারের জামাইয়ের ভাই রাতুলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এই কারণে সিদ্ধার্থ ঘোষণা করেছিল বিবাহ বিচ্ছেদের উপযুক্ত সময় এটা নয়। ফলে মোদক পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। আশ্বস্ত হয়েছিলেন ‘মিঠাই’-এর অনুরাগীরাও। সত্যিই কি মিঠাই ও উচ্ছেবাবুর ডিভোর্স হয়ে যাবে? জানতে হলে, চোখ রাখতে হবে ‘মিঠাই’-এর আগামী পর্বে।
