সেটা ছিল নব্বইয়ের দশক। বলিউডে কোনো ফিল্ম মানেই সেখানে কমেডি কিং জনি লিভার (Johny Lever)-এর উপস্থিতি। তাঁর অভিনয় ছাড়া সিনেমা থাকত অসম্পূর্ণ। অবাক করে দেওয়া কমেডি টাইমিং জনিকে বানিয়েছিল সুপারস্টার। কিন্তু ইদানিং তাঁকে আর অভিনয় করতে দেখা যায় না। ইন্সটাগ্রাম ও নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে কখনও সখনও মজাদার ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করেন জনি। সাথে থাকেন তাঁর ছেলে-মেয়েরাও। বহুদিন পর রোহিত শেঠি (Rohit Shetty) পরিচালিত ফিল্ম ‘সার্কাস’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরলেও ফিল্মটি বক্স অফিসে অসফল হয়েছে। জনিকেও সেইভাবে মনে ধরেনি দর্শকের। কিন্তু একসময়ের সুপারস্টারের কেন এমন পরিণতি? অথচ তিনি ছাড়া ফিল্মে একসময় কমেডির রসদ যোগানোর কেউ ছিল না।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জনি। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে কমেডি ফিল্মের পরিমাণ ও ফিল্মে কমেডির পরিমাণ দুই-ই কমে গিয়েছে। পাশাপাশি জনি বলেন এক অদ্ভুত কথা। তিনি জানান, অনেক সময় নায়করা তাঁর অভিনয় ও জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পেয়ে যেতেন। ফলে জনি অভিনীত দৃশ্যগুলির অধিকাংশ এডিট করে বাদ দেওয়া হত। জনির জনপ্রিয়তা ও তাঁর অভিনীত দৃশ্য নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনার ফলে নায়কদের একাংশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। চিত্রনাট্যকাররাও নায়কদের দিয়েই কমেডি করাতে থাকেন। ফলে জনির হাতে কমতে থাকে কাজ। তাঁর মতে, প্রকৃত কমেডি বর্তমান ফিল্মে দেখা যায় না।
View this post on Instagram
এখনও অবধি তিনশোরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন জনি। কখনও করেছেন স্ট্যান্ড-আপ কমেডি। কখনও বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিমিক্রি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জনির দুই সন্তান জেমি ও জেসিও বিনোদন জগতকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তাঁরাও কমেডিয়ান।
জনি- কন্যা জেমি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন। জনির সাথে তিনি হিন্দি ফিল্ম ‘হাউসফুল’-এ অভিনয় করেছেন। এছাড়াও জেমি বহু পুরস্কারও পেয়েছেন।
View this post on Instagram