whatsapp channel

অমিতাভকে শেষ বারের মতো দেখে আসুন, চিকিৎসকের কথায় কেঁদে উঠলেন জয়া বচ্চন

এই সম্পর্ক আজকের নয়। বাইরে অনেক হাতছানি ছিল, তারপরেও গড়ে ওঠে অমিতাভ-জয়ার সম্পর্ক। একটা সময় প্রায় তড়িঘড়ি জয়া বচ্চনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এখনো বলিউডে পারফেক্ট জুটি শিরোপা…

Avatar

HoopHaap Digital Media

এই সম্পর্ক আজকের নয়। বাইরে অনেক হাতছানি ছিল, তারপরেও গড়ে ওঠে অমিতাভ-জয়ার সম্পর্ক। একটা সময় প্রায় তড়িঘড়ি জয়া বচ্চনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এখনো বলিউডে পারফেক্ট জুটি শিরোপা নিয়ে আজও এনারা ভাইরাল। ঘটনাটা ১৯৮২ সালের ২৬ জুলাই। সেই সময় চলছিল মনমোহন দেশাইয়ের সিনেমা ‘কুলি’র শ্যুটিং। ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিউয়ের বাইরে তখন দাঁড়িয়ে জয়া বচ্চন। বুকে জমানো কান্না। সেদিন সিঁথির সিঁদুর নিয়ে টানাটানি চলছিল। চিকিৎসক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ‘যান, মিস্টার বচ্চনকে শেষবারের মত দেখে আসুন!’

অমিতাভকে শেষ বারের মতো দেখে আসুন, চিকিৎসকের কথায় কেঁদে উঠলেন জয়া বচ্চন

১৯৮২ তে চলছে ‘কুলি’ সিনেমার শ্যুটিং। বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে চলছিল শ্যুটিং। সেইসময় পুনীত ইসারের সঙ্গে একটা ফাইট সিকোয়েন্স ছিল। অমিতাভকে লাফ দিতে হবে, সময়ের একটু এদিক ওদিকের জন্য উঁচু থেকে নীচে পড়ে গিয়ে লিভারে মারাত্মক চোট পান অমিতাভ। ব্যস সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ১৯৮২ সালের ২ আগস্ট ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে তখন চলছিল এক জীবন-মরনের প্রাণপণ লড়াই। দ্বিতীয় অপারেশন হয়। এরপরেই দীর্ঘ সময়ের জন্য অজ্ঞান ছিলেন বিগ বি।

অমিতাভকে শেষ বারের মতো দেখে আসুন, চিকিৎসকের কথায় কেঁদে উঠলেন জয়া বচ্চন

সেদিন এক ডক্টর নাম ডঃ উদওয়াদিয়া তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। ওই ডাক্তার একের পর এক করটিসোন ইঞ্জেকশন দিতে থাকেন বিগ বিকে। চৈতন্য ফেরে অমিতাভের। সেদিন যে মিরাকল হয়েছিল তা আজও মনে করে স্তম্ভিত হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন। দেখতে দেখতে বহু বসন্ত কাটিয়ে দেন তিনি। ২০২০ র ১১ ই অক্টোবর ৭৮ এ পা রেখেছেন বচ্চনজি। এখনো শ্যুটিং এ কোন খামতি নেই।

অমিতাভকে শেষ বারের মতো দেখে আসুন, চিকিৎসকের কথায় কেঁদে উঠলেন জয়া বচ্চন

বাবার ধমকেই বিয়ে করেছিলেন একটা সময় অমিতাভ জয়াকে। সিলসিলা, অভিমান,চুপকে চুপকে,মিলির মতো অজস্র ছবিতে জুটি বেঁধেছেন অমিতাভ ও জয়া। এখনো এই দুই প্রবীণ তারকা জুটি হিট। সেদিন ‘কুলি’ হিট হয়েছিলো। যেদিন ২৪ সেপ্টেম্বর নিজের বাড়িতে যুদ্ধ জয় করে ফেরেন সেদিনের ভিডিও আজও ভাইরাল। বাবার চোখে জল দেখেছিলেন অমিতাভ। বাড়ি ফিরে অমিতাভ তাঁর ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, “আজ ২৪ সেপ্টেম্বর, আমি আহত হওয়ার তারিখের ঠিক দু’মাস অতিবাহিত। সেন্ট ফিলোমেনা হাসপাতাল আর বিশেষত বোম্বের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিত্সক এবং নার্সদের প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ আমি এখন আপনাদের সামনে রয়েছি। আমি আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ, যাঁরা আমার জন্য জীবনের প্রার্থনা করেছিলেন, তা মন্দিরে হোক, মসজিদে বা গির্জায়।”

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media