সত্যিই কি শেষ হয়ে যাবে ‘মেয়েবেলা’?
‘মেয়েবেলা’ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছিল গত একমাস আগে থেকেই। দীর্ঘদিন পর স্টার জলসার এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরে এসেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। তাঁর অগুণতি ভক্তরা বীথিকা মিত্রর চরিত্রে রূপাকে দেখে খুশি হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই বলেছিলেন, তাঁর অভিনয় নেশাগ্রস্তের মতো লাগছে। ‘মেয়েবেলা’-র টিআরপি কিছুটা হলেও ছিল রূপার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু একরকম হঠাৎই তিনি এই ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়ান। রূপা জানিয়েছিলেন, একবিংশ শতকে পৌঁছে বাড়ির বৌয়ের উপর শাশুড়ির অত্যাচার ও তা মুখ বুজে পুত্রবধূর সহ্য করার মতো চিত্রনাট্যের অতিরঞ্জন মানতে পারছিলেন না তিনি। বীথিকার চরিত্র ক্রমশ হয়ে উঠেছিল নেতিবাচক। ফলে এই চরিত্র থেকে সরে যান রূপা। তিনি আচমকা সরে যাওয়ার ফলে অথৈ জলে পড়েছিলেন নির্মাতারা। ফলে বীথিকার চরিত্রে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় অনুশ্রী দাস (Anushree Das)-কে। কিন্তু দর্শকদের চোখে রূপাই ছিলেন বীথিকা। ফলে তাঁরা এই চরিত্রে মানতে পারলেন না অনুশ্রীকে। কমে গেল ‘মেয়েবেলা’-র টিআরপি।
আগামী 12 ই জুন থেকে স্টার জলসায় ‘মেয়েবেলা’-র স্লটে অর্থাৎ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সম্প্রচারিত হতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক ‘সন্ধ্যাতারা’। ‘মেয়েবেলা’ সেই অর্থে যথেষ্ট পুরানো নয়। ফলে প্রথমদিকে শোনা গিয়েছিল, এই ধারাবাহিকটির স্লট পরিবর্তন হতে পারে। তবে বর্তমানে স্টুডিওপাড়ার অন্দরের গুঞ্জন, স্লট পরিবর্তনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ‘মেয়েবেলা’-র নির্মাতারা চান ধারাবাহিকটি অফ এয়ার করে দিতে। কারণ রূপাকেই তাঁরা ‘মেয়েবেলা’-র টিআরপি তলানিতে ঠেকার জন্য দায়ী করছেন। তাঁদের মতে, অনুশ্রীকে আরও একটু সময় দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। একই দাবি অনুশ্রীর অনুরাগীদের। ফলে ‘মেয়েবেলা’ প্রাইম স্লট থেকে সরলে তা টিআরপির ক্ষেত্রে অনেক বেশি নেতিবাচক হতে পারে ভেবেই নির্মাতারা চান ধারাবাহিকটি সসম্মানে অফ এয়ার হয়ে যাক।
শোনা যাচ্ছে, আগামী 11 ই জুন হতে চলেছে ‘মেয়েবেলা’-র শেষ শুটিং। কিন্তু যদি তা হয়, তাহলে এই ধারাবাহিকের শেষের পর্বগুলি পরিবর্তিত স্লটে সম্প্রচার করতে হবে। কারণ 12 ই জুন ‘মেয়েবেলা’-র স্লটে সম্প্রচারিত হবে ‘সন্ধ্যাতারা’। ফলে সম্ভবতঃ 11 ই জুন শেষ শুটিং নয়, হতে চলেছে ‘মেয়েবেলা’-র শেষ সম্প্রচার।
‘মেয়েবেলা’-র প্রস্তাব প্রথমে অবশ্য রূপার কাছে নয়, গিয়েছিল ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder), লাবণী সরকার (Laboni Sarkar)-দের কাছে। চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়ার ফলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রূপার কাছে গেলে তিনি ‘মেয়েবেলা’-র প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে ধারাবাহিক শুরু হলে দেখা যায়, দিনের পর দিন মূল গল্প থেকে বধূ নির্যাতনের দিকে সরছে চিত্রনাট্য যা ছিল অনৈতিক। ফলে ‘মেয়েবেলা’ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন রূপা। তা নিয়ে বহু চাপান-উতোর চললেও পরবর্তীকালে রূপার সুরেই সুর মিলিয়েছেন দর্শকদের একাংশ। তাঁদের মতে, ‘মেয়েবেলা’-র চিত্রনাট্য সময়োপযোগী নয়। তবে চ্যানেলের তরফে এখনও এই ধারাবাহিক অফ এয়ার হওয়ার কথা সুনিশ্চিত করা হয়নি।
View this post on Instagram