আরিয়ান খান (Aryan Khan) ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে আর্থার রোড জেল থেকে মুক্ত হয়ে ‘মন্নত’-এ ফিরে গিয়েছেন। তাঁর হয়ে এক লক্ষ টাকার জামিনের বন্ডে সাইন করেছেন জুহি চাওলা (Juhi Chawla)। কিন্তু আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া মডেল মুনমুন ধামেচা (Munmun Dhamecha) এখনও বায়কুল্লা জেলের মহিলা সেলে বন্দী। কারণ জামিন পাওয়া সত্ত্বেও মুনমুনের জামিনদার নেই।
ফলে মাদক কান্ডে জামিন মঞ্জুর হলেও জেল থেকে মুনমুনের বাড়ি ফেরার কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। 3 রা অক্টোবর মুম্বই-গোয়া প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ার রেভ পার্টি থেকে আরিয়ান, মুনমুন, আরবাজ মার্চেন্ট (Arbaaz Merchant) সহ আট জনকে আটক করে এনসিবি। টানা ষোল ঘন্টা জেরার মুখে আরিয়ান স্বীকার করেন, তিনি মাদক সেবন করেছেন। অপরদিকে মুনমুনের স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে ড্রাগ পিলস উদ্ধার করেন এনসিবি-র মহিলা আধিকারিকরা। এরপরেই আরিয়ান, মুনমুন ও আরবাজকে গ্রেফতার করা হয়। আরিয়ান ও আরবাজকে আর্থার রোড জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে কোনো মহিলা সেল না থাকায় মুনমুনকে পাঠানো হয় বায়কুল্লা জেলে।
View this post on Instagram
বারবার জামিন নামঞ্জুর হলেও 28 শে অক্টোবর আরিয়ান, মুনমুন ও আরবাজের জামিন মঞ্জুর হয়। কিন্তু এক লক্ষ টাকা ও কোনো জামিনদারের গ্যারান্টির বিনিময়ে তিনজনকে ছাড়ার কথা জানানো হয়। আরিয়ানের জামিনদার জুহি হলেও মুনমুনের কোনো জামিনদার নেই। আরবাজও ছাড়া পেয়ে গেছেন। কিন্তু জামিনদারের অভাবে ছাড়া পেলেন না মুনমুন।
প্রকৃতপক্ষে, মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা মুনমুন পিতৃমাতৃহীন। তাঁর এক ভাই রয়েছেন। তিনি দিল্লিতে কর্মরত। ফলে তাঁর জামিনদার হওয়ার মতো কেউ নেই। কর্ডেলিয়ার মাদক মামলায় মুনমুন সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। ফলে বম্বে হাইকোর্টে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, আপাতত মুনমুনকে শুধুমাত্র এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছাড়া হোক। যদি তাঁর এই আবেদন মঞ্জুর হয়, তবেই জেল থেকে ছাড়া পাবেন মুনমুন।
View this post on Instagram