পুজোর পর শীতের আমেজেও ত্বক থাকবে দুধের মতো ফর্সা, কিভাবে যত্ন নেবেন জেনে নিন
শীতকালে ব্যবহার করার জন্য ভিটামিন ই অয়েল হলো উপযুক্ত একটি উপাদান। অনেক সময় শীতকালে ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভিটামিন ই অয়েল খুব ভালো করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বক হতে পারে দুধের মতন ফর্সা। দুই একবার ব্যবহার করার পরেই বুঝতে পারবেন, আপনার ত্বক কেমন পরিষ্কার ঝকঝকে হয়ে গেছে।
প্রথমে জেনে নিন কেন ব্যবহার করবেন ভিটামিন ই অয়েল – ১) ত্বক যদি রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করুন ভিটামিন ই অয়েল। এটি ত্বকে অনেক নরম ও পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ২) মেচেদা, ডার্ক সার্কেল কালো দাগ, চোখের তোলার কালো দাগ সহজে দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই অয়েল। ৩) অকালবার্ধক্য দূর করতে সাহায্য করে, বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
এরপর জেনে নিন ভিটামিন ই অয়েলকে কিভাবে ব্যবহার করবেন –
১) নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করুন –
ক) ভিটামিন ই অয়েলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ নাইট ক্রিম।
খ) ভিটামিন ই অয়েলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন নাইট ক্রিম। এটি আপনার ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।
গ) ভিটামিন ই অয়েল এর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন, এটি অসাধারণ নাইট ক্রিম হিসেবে কাজ করে।
২) চোখের ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করুন –
চোখের তোলার কালো দাগ দূর করতে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ই অয়েল। ভিটামিন ই অয়েলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে আপনি রেখে দিন, রাতে শুতে যাওয়ার সময় চোখের চারপাশে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করে শুয়ে পড়ুন।
৩) গলা, কনুই, আন্ডার আর্মস, গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে – উপরের বলা প্রত্যেকটি জায়গাতে যখন অনেক বেশি পরিমাণে কালো দাগ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ভিটামিন ই অয়েলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। রোজ রাতে শুতে যাবার সময় বা স্নান করার আগে ওই অংশগুলোতে ভালো করে লাগিয়ে তারপরে শুয়ে পড়তে পারেন, অথবা কিছুক্ষণ পরে স্নান করে ফেলতে পারেন। এর পরে দেখবেন, এরপর একমাস ব্যবহার করার পরে দেখবেন কালো দাগ সহজেই দূর হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।