Hoop Life

Curly Hair Problem Solution: কোঁকড়া চুল নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন! ব্যবহার করুন পাঁচটি ঘরোয়া উপাদান

চুল নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তা করি কিন্তু ও আমাদের মধ্যেও বেশ কিছুজনের থাকে যাদের কোঁকড়ানো চুল যাদের কোঁকড়ানো চুল তারাও কিন্তু নানা সমস্যায় পড়েন, তবে বর্তমানে নানান রকম ফ্যাশন করার জন্য পার্লারে গিয়ে আমরা অনেক সময় চুলকে স্রেইট করিয়ে নি। কিন্তু তার জন্য চুলের অনেক ক্ষতি হয়, যদি দেখে ফেলুন কিভাবে আপনি আপনার কোঁকড়ানো চুলকে ম্যানেজ করবেন মাত্র পাঁচটি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে।

১) কাঁচা ডিম – প্রথমেই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে, হাতে তুলে নিতে হবে একটি কাঁচা ডিম। কাঁচা ডিম আমরা অনেকেই চুলের যত্নে ব্যবহার করি। কাঁচা ডিম কে প্রথমে ফাটিয়ে নিয়ে তারপরে পরিষ্কার চুলে ভালো করে লম্বা করে টেনে টেনে লাগিয়ে দিন তারপরে ফয়েল প্যাকে করে চুল ভালো করে স্ট্রেট করে মুড়ে দিন। এরপরে প্রায় আধ ঘন্টা এইভাবেই সুন্দর করে রেখে যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

২) অ্যালোভেরা জেল – অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে যে থকথকে সাদা জেলে পাওয়া যায় সেই জেল আমাদের চুল ভালো রাখার পাশাপাশি চুলকে অনেক সুন্দর করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা কোঁকড়ানো চুলের সমস্যায় ভুগছেন, তারা যদি অ্যালোভেরা জেল চুলে টেনে টেনে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন চুল অনেক বেশি সুন্দর এবং স্ট্রেইট হয়েছে।

৩) জবা ফুল – জবা ফুলের পেস্ট ভালো করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কোঁকড়ানো চুলে টেনে টেনে লাগান, তারপরে কিছুক্ষণ পরে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন, জবা ফুল চুলের যত্নের জন্য ভীষণ ভালো একটি উপাদান।

৪) নারকেল তেল – নারকেল তেলকে খুব ভালো করে গরম করে নিন। এরপরে চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করুন, সপ্তাহে দুদিন এটি করতে পারেন, তবে ম্যাসাজ করার সময় চুলকে ভালো করে টেনে টেনে ম্যাসাজ করবেন, তাতে কিন্তু চুল অনেকখানি সুন্দর এবং স্ট্রেট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫) ভিটামিন ই অয়েল – চুলকে যদি ভালো রাখতে চান, তাহলে ভিটামিন ই অয়েলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে ভালো করে ম্যাসাজ করুন, কিছুক্ষণ পরে দেখবেন চুল কি সুন্দর হয়ে গেছে তারপরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles