Hoop Life

Hair Care Tips: শীতকালে মুঠো মুঠো চুল উঠছে? হাতে তুলে নিন সহজ পাঁচটি টিপস

শীতকাল মানেই খুশকির জন্য মুঠো মুঠো চুল উঠতে থাকে। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না কি করে চুল ওঠাটাকে বন্ধ করব, আমরা সকলেই চাই আমাদের চুল ঘন, কালো, লম্বা হোক। কিন্তু আমরা প্রত্যেকে কিন্তু নিজেদের নিয়ম মেনে কিছুতেই করি না, নিয়ম মেনে যদি এই কাজ করতে হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই কতগুলো নিয়ম সপ্তাহে প্রতিদিন মেনে চলতে হবে, তবেই আপনি পেতে পারেন ঘন, কালো চুল। নিজের পদ্ধতিগুলো আপনি যদি মেনে চলেন তাহলে মাত্র ৭ দিনেই আপনার চুল দেখবেন, কত সুন্দর হয়ে যাবে। তবে একেবারে স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করতে হবে, কোন স্টেপ মিস করলে, কিন্তু আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন না। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –

১) চুল ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। চুল ভালো করে পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল, চুলে ভালো করে শ্যাম্পু দিতে হবে। আর যদি শ্যাম্পু দিতে না চান, তাহলে রিঠা ব্যবহার করতে পারেন। একটি প্রাকৃতিক উপাদানের প্রাকৃতিক উপাদান, আপনি যদি ব্যবহার করেন, তাহলে দেখবেন, আপনার চুল কত সুন্দর হয়ে যাবে।

২) চুলে অন্তত সপ্তাহে একদিন হেয়ার প্যাক লাগাতে হবে। হেয়ার প্যাক এর মধ্যে অবশ্যই দিন। যারা ডিম পছন্দ করেন না, তারা সেই ডিমের জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন টক দই। তবে ডিম লাগানো চুলের জন্য ভীষণ ভালো।

৩) চুলে একদিন আপনাকে খুব ভাল করে কোন ভেষজ হেয়ার প্যাক অর্থাৎ যেখানে সবুজ পাতা বা ফুলের পরিমান বেশি থাকবে তা ব্যবহার করতে হবে। যেমন ধরুন কারি পাতা, জবা পাতা, অ্যালোভেরা, নিম পাতা, গোলাপ ফুল সমস্ত উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রায় আধ ঘন্টার মধ্যে রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪) চুলে ভালো করে আপনাকে হেয়ার টনিক লাগাতে হবে। যে আপনি বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন এর জন্য প্রয়োজন অ্যালোভেরা জেল, গ্রিন টি, গোলাপজল। এটি ভালো করে দিয়ে মাঝে মধ্যে মাথায় স্প্রে করে নিন। দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হয়ে গেছে।

৫) চুলের যত্ন নিতে হবে, চুলের গোড়া যদি ভালো না থাকে তাহলে কিন্তু চুল অনেকখানি পড়ে যাবে। তাই যদি স্কাল্পের যত্ন নিতে চান তাহলে অবশ্যই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন, নারকেল তেল ভালো করে গরম করে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন, দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হয়ে গেছে।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।