Hoop PlusRegionalTollywood

সায়ন্তিকার সাথে চার ঘণ্টা হোটেলে সময় কাটানোর অভিযোগ, মুখ খুললেন জায়েদ খান

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)-কে নিয়ে বর্তমানে তুঙ্গে ঢালিউড তরজা। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পোশাকি নাম ঢালিউড। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রযোজক মনিরুল ইসলাম (Manirul Islam)-এর প্রযোজনায় তৈরি ফিল্ম ‘ছায়াবাজ’-এর শুটিং করতে ওপার বাংলায় পাড়ি দিয়েছিলেন নায়িকা। কিন্তু ফিল্মের শুটিং শেষ হওয়ার আগেই 7 ই সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। সায়ন্তিকার অভিযোগ ছিল ডান্স কোরিওগ্রাফার মাইকেল (Michael) তাঁকে নাচের স্টেপ শেখানোর নামে অযাচিত স্পর্শ করেছেন। কিন্তু মাইকেল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ফিল্মের প্রযোজক মনিরুল। তবে সায়ন্তিকাকে নিয়ে তরজা দিনের পর দিন কদর্য আকার ধারণ করছে। ‘ছায়াবাজ’-এ সায়ন্তিকার বিপরীতে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অভিনেতা জায়েদ খান (zayed Khan)।

জায়েদ ও সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে লাগাতার চার ঘন্টা হোটেলের রুমে একসাথে কাটানোর কুরুচিকর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মনিরুল। সায়ন্তিকা অবশ্য প্রযোজকের বিরুদ্ধে শুটিংয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে জায়েদ এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি গানের দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য পোশাক পরিবর্তন করতে দুপুর দু’টো নাগাদ তাঁরা হোটেলে গেলেও প্রয়োজনীয় লেদারের পোশাকের ব্যবস্থা ছিল না তাঁদের জন্য। প্রযোজককে পোশাকের প্রয়োজনের কথা জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা করেননি। ফলে বিকল্প পোশাকের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এই ফাঁকে সায়ন্তিকা কিছুক্ষণ বিরতি নিয়েছিলেন। তিনি ও জায়েদ প্রযোজককে হোটেল রুমের টাকা মিটিয়ে দিতে বললে মনিরুল তা পাঠাননি। ফলে ক্রমশ দেরি হয়ে যায় ও সন্ধ্যা ছ’টার সময় সেটে পৌঁছান নায়ক-নায়িকা।

এর মধ্যেই মনিরুলের অভিযোগ, সায়ন্তিকাকে চুক্তির বাইরে পোশাকের জন্য আলাদা করে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পোশাক নিয়ে আসেননি। উপরন্তু প্রযোজনা সংস্থার তরফে তাঁকে যে পোশাক দেওয়া হয়েছিল, তাও ফেরত দেননি সায়ন্তিকা। কিন্তু সম্পূর্ণ ঘটনায় জায়েদ ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। গত বছর বাংলাদেশের শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত চলছে বলে জানিয়েছেন জায়েদ। সায়ন্তিকাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করার জন্য ফুল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন নায়ক।

কিন্তু তা নিয়ে অযথা জলঘোলা করা হচ্ছে। জায়েদের অভিযোগ, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই কিছু লোক তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময় জায়েদের বিরুদ্ধে বিপরীত পক্ষকে হুমকি দেওয়া ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি জায়েদের ব্যক্তিগত জীবনও উঠে এসেছিল খবরের শিরোনামে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময় বারবার হামলার ঘটনায় জড়িয়েছে জায়েদের নাম। এর মধ্যেই উল্লেখযোগ্য হল মনিরুলের কিছু কথা।

সায়ন্তিকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের দেশের শিল্পীদের ছোট করতে চান না মনিরুল। এর ফলে তাঁর আর্থিক ক্ষতি হলেও কোনো অসুবিধা নেই মনিরুলের। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যথেষ্ট ধনী নয়। জায়েদ মূলতঃ বাংলাদেশের নায়ক। ফলে বাংলাদেশের কোনো প্রযোজক তাঁদের আর্থিক ক্ষতির কথা ভাবতে পারেন না। মনিরুল বলেছিলেন, নিজের দেশের শিল্পীকে ছোট করতে চান না। তাহলে জায়েদ সম্পর্কে তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করে অবশ্যই নিজের স্ববিরোধিতা করেছেন! তাহলে প্রশ্ন উঠছে, ‘ছায়াবাজ’, সায়ন্তিকা ও মাইকেল শুধুই অছিলা মাত্র। প্রকৃত সমস্যার নাম কি জায়েদ খান বনাম মনিরুল ইসলাম?

Related Articles