Hoop NewsHoop Trending

প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ, খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে আসছে করোনার ভ্যাকসিন

করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে এই মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক যা মানব শরীরের পক্ষে উপযোগী এমন টিকা আনতে মরিয়া হয়ে পড়ে গবেষকগণ। এই মূহুর্তে বিশ্বজুড়ে ১৫৫ টি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। তার মধ্যে ২৩ টি প্রতিষেধকের মানব শরীরে পরীক্ষা চলছে। এই ২৩ টি করোনার প্রতিষেধকের ৩ টি প্রতিষেধকের তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। তিনটি প্রতিষেধকের মধ্যে অন্যতম হল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনার প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19 বা AZD1222)।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনার প্রতিষেধকটির উৎপাদন কাজ শুরু করেছে ভারতের অন্যতম বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরাম ইনস্টিটিউট ছাড়াও আরও একটি সংস্থা ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ ওই প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ অপেক্ষা করে আছে করোনার প্রতিষেধকের। লাগামহীন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে স্বাভাবিক স্তরে আনতে পারে করোনার টিকা। আর সেই টিকা আবিস্কারের পথ চেয়ে গোটা বিশ্ব।

সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের গবেষকদের তৈরি টিকাটির লক্ষাধিক ডোজ তৈরি করতে চলেছে। ভারতে অন্তত ৮ কোটি করোনার প্রতিষেধকের ডোজের প্রয়োজন। সিরাম ইনস্টিটিউট সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশীয় সংস্থা ফাইজার, জিএসকে, ভারত বায়োটেক ৫ থেকে ৬ কোটি করোনার প্রতিষেধক বাজারে আনতে পারে আগামী বছরের মধ্যে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির গবেষণার প্রধাণ ডঃ সারা গিলবার্ট জানিয়েছেন, ” করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানব শরীরে এই প্রতিষেধকটি প্রতিরোধ করতে সক্ষম”।

Related Articles