বিপদে পড়লে স্মরণ করুন লোকনাথ বাবাকে, তিনিই রক্ষা করবেন
কলকাতা থেকে কিছু দূরে ২৪ পরগনার কচুয়া গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লোকনাথ বাবা। পিতার নাম রামনারায়ন ঘোষাল, মাতা ছিলেন কমলাদেবী তিনি বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান।
লোকনাথ বাবার আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি জাতিস্মর, দেহ হতে বহির্গত এবং অন্যের মনের ভাব অবলীলায় তিনি জানতে পারেন। এ ছাড়া অন্যের রোগ নিজের দেহে ধারণ করে তিনি রোগীকে রোগমুক্ত করতেন।
দীক্ষাগুরু হিসেবে পেয়েছিলেন ভগবান গাঙ্গুলীকে। ভগবান গাঙ্গুলী কয়েক বছর দেশে থাকার পরে লোকনাথ এবং বেনীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় নামক দুজন শিষ্যকে নিয়ে কালীঘাটে চলে আসেন। তারপরে তাদেরকে নিয়ে তিনি বারাণসীতে যান। সেখানে দেহ ত্যাগ করার আগে তিনি তাদের দায়িত্ব দিয়ে যান ত্রৈলঙ্গ স্বামীর হাতে। লোকনাথ পশ্চিম দিকে আফগানিস্তান, মক্কা-মদিনা ইত্যাদি স্থান অতিক্রম করে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত চলে যান। মক্কা দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। সেখানে তার দেখা হয় আবদুল গফুর নামে এক মহাপুরুষের সঙ্গে।
লোকনাথের বলে যাওয়া কিছু বানী-»
“রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানে বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিয়ো আমি রক্ষা করিবো।” (শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী)
আমার বিনাশ নেই, শ্রাদ্ধ নেই, আমি নিত্য পদার্থ। অর্থাৎ এই আমি হলাম গীতায় বর্ণিত ‘পরমাত্মা’ (শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী)
“গরজ করিব কিন্তু আহাম্মক হবিনা ক্রোধ করিব কিন্তু ক্রোধান্ধ হবিনা।”
শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী