সুশান্ত অপমান সহ্য করতে পারতেন না, অঙ্কিতার থেকে জেনেছিলেন কঙ্গনা
সুশান্ত সিং রাজপুত-এর মৃত্যুর পর বলিউডে ‘স্বজনপোষণ’ অর্থাৎ ‘নেপোটিজম’ নিয়ে সোচ্চার হোন কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি তার ভিডিওর মাধ্যমে তার মন্তব্যে বলিউডের নামী দামী পরিচালক-প্রযোজকদের নাম নেন। এরপর থেকেই তাকে সমর্থন করতে বহু মানুষ এগিয়ে আসে। তিনি সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অঙ্কিতা লোখান্ডে তাকে বলেছিলেন সুশান্তকে বলিউড কিভাবে অপমানিত করেছিল, তাকে কিভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছি।
সম্প্রতি তিনি ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেন, “আমার বন্ধু, তথা, মণিকর্ণিকার সহ অভিনেত্রী অঙ্কিতাই আমাকে বলেছিল, সুশান্তকে কেরিয়ারের শুরু থেকে কীভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছিল। আর সুশান্ত অপমান সহ্য করতে পারত না। সুশান্ত টেলিভিশন থেকে উঠে এসেছিল, তাই তাঁকে অডিশনের পর অডিশন দিতে হয়েছিল, আর প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে হয়েছিল। অথচ, তারকা হওয়ার পরও সুশান্ত মাটিতে পা রেখেই চলত”।
এছাড়া তিনি বলেছেন, “অঙ্কিতার কথায়, সুশান্ত একেবারেই মোটা চামড়ার মানুষ নন। শুরুর দিকে টুইটার, ফেসবুকে ভক্তদের কথার জবাব দিত ও। কেউ কিছু বললে বা লিখলে ও তাঁকে বোঝাতে যেত। প্রশ্ন করত কেন ওর সম্পর্কে এমন ভাবা হচ্ছে? যেমন ভাবা হচ্ছে ও তেমন নয়। অঙ্কিতা ওকে বোঝাত, যে উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। সকলের নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকে। এত কেন ভাবছ? কিন্তু ও বিষয়টা মানতে পারত না”।
“অঙ্কিতা আমায় বলেছে, সুশান্ত একেবারেই আমার মত ছিল। বুদ্ধিমানরা সমস্ত গসিপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই চায়। তবে সুশান্তের সমস্য ছিল, ও বলিউডের কাছ থেকে মান্যতা, চেয়েছিল। গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে চেয়েছিল ও। যেটা ওকে দেওয়া হয়নি। আসলে কেরিয়ারের শুরুর দিকে সুশান্তের মত ভুল আমিও করেছি। যাঁরা ছোট শহর থেকে আসেন, তাঁরা হয়ত এই ভুলটাই করেন”, বলেছেন বলিউড ‘কুইন’।
আরো জানান, “আমিও কেরিয়ারের শুরুর দিকে বলিউডের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে অনেককিছু করেছি। চুল স্ট্রেট করেছিলাম, বোটক্স করে ঠোঁট মোটা করেছিলাম। আমিও গাধার মতো কিছু ছবিতে সই করেছি, বিকিনি পরেছি। শুধুই গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য। আমি তখন বি-গ্রেড ছিলাম, কেউ আমায় গ্রহণ করেনি”।