Benefits of Turmeric: ওজন কমাতে যেতে হবে না জিমে, বাড়িতে বসেই খান কাঁচা হলুদ, মিলবে ফল
মাছের বাহারি রান্না হোক বা মাংসের ঝোল, বাঙালির রান্নাঘরে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ ছাড়া রান্নায় বাঙালির পেট ভরলেও, ভরেনা মন। এককথায় বললে, যুগ যুগ ধরে বাঙালির হেঁসেলে হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলার সম্মান পেয়ে আসছে। তবে শুধু রান্না নয়, হলুদের রয়েছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সহ আরো নানান আশ্চর্য গুনাগুন। কি সেই গুণাবলী?
(১) ত্বকের পরিচর্যায় হলুদ: ঘরোয়া ফেস প্যাক থেকে শুরু করে কাঁচা হলুদের পেস্ট ব্যবহার, ত্বকের পরিচর্যায় এখনো অনেকেই হলুদকেই রাখেন প্রথম সারিতে। বিজ্ঞানীরাও বলেছেন, হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামে এক বিশেষ উপাদান। আর এই কারকিউমিনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ত্বকে বয়সে ছাপ ফেলতে দেয়না। পাশাপাশি মুখের কালো দাগ ও ট্যান দূর করতে হলুদ অব্যর্থ টোটকা।
(২) রোগ প্রতিরোধে হলুদ: নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে নিজেকে দূরে রাখা যায় নানান রোগ থেকে। কারণ হলুদে অবস্থিত এন্টি-ইনফ্লেমেটোরি এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান অনেক ব্যাকটেরিয়াকে শরীরে প্রবেশ করে কার্যকরী হতে দেয়না।
(৩) ক্যান্সার রোধে হলুদ: গবেষণা বলছে হলুদ নাকি মারণ রোগ ক্যানসার প্রতিরোধেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন নামক উপাদান ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।
(৪) সর্দি-কাশি প্রতিরোধে হলুদ: মধু তুলসীপাতার পাশাপাশি হলুদও শরীর থেকে দূরে রাখে সর্দি কাশির মতো উপসর্গকে। গবেষণায় দেখা গেছে হলুদের কারকিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গগুলিকে শরীর থেকে দূরে রাখে।
(৫) ওজন কমাতে হলুদ: বর্তমানে ‘ওবেসিটি’ একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। ওজন কমাতে ভিড় বাড়ছে জিম সেন্টারে। তবে হেঁসেলে থাকা কাঁচা হলুদ কমিয়ে ফেলতে পারে শরীরের ওজন। জানা যায়, নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে শরীরে মেটাবলিজমের হার বাড়ায় এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধরণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও ওষুধ ও চিকিৎসার অঙ্গ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।